নিউজ পোল বিনোদন ডেস্ক: নাম তাঁর মাহিরা খান হলেও তাঁকে এদেশে সবাই শাহরুখ খানের ‘রইস’ নায়িকা হিসেবেই বেশি চেনেন। পাকিস্তানি অভিনেত্রী হলেও বহুবার এদেশের লোকজনের চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছেন মাহিরা খান। বেশ কয়েক বছর আগে ভাইরাল হয়েছিল রণবীর কাপুর ও মাহিরা খানের ধূমপানের একটা ভিডিয়ো। একই সঙ্গে নজরে এসেছিল মাহিরার পিঠে কামড়ের দাগ। ব্যাস ওমনি শুরু হয়ে গিয়েছিল তাঁদের নিয়ে চর্চা।
রণবীরের সঙ্গে একান্ত যাপনের ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পর মাহিরাকে কিছু কম কথা শুনতে হয়নি। সম্প্রতি সেই বিষয়েই মুখ খুলেছেন মাহিরা খান। কিন্তু আসলে কী ছিল সেই ছবিতে?
রণবীর কাপুর ও মাহিরা খানের সেই ছবিটি নিউ ইয়র্কের একটা হোটেলে তোলা। যেখানে রণবীরকে সবুজ রঙের একটা ট্র্যাক প্যান্ট ও ধূসর টি-শার্টে দেখা যায়, অন্যদিকে, মাহিরাকে সাদা হল্টার নেক পোশাকে দেখা যায়। রণবীর দাঁড়িয়ে ছিলেন, আর মাহিরা বসে। তাঁদের দু’জনের হাতেই ছিল সিগারেট। আর মাহিরার পিঠে লাল কামড়ের মতো একটা দাগ। তবে এমন ছবি সামনে আসলে চর্চা হবে বৈকি।
রণবীরের সঙ্গে এমন ছবি সামনে আসার পর নিজের দেশে তীব্র সমালোচনায় শিকার হতে হয় মাহিরাকে। মাহিরা সেই বিষয়েই সম্প্রতি সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘দ্য লিটল হোয়াইট ড্রেস- নামে তাঁর ছবি দিয়ে BBC-তে একটা প্রতিবেদন বের হয়েছিল। তবে সেই প্রতিবেদন দেখে আমার ভালো কিছু মনে হয়নি। প্রশ্নে জেগেছিল আমার কেরিয়ার কি তবে শেষ? আমি তখন এমন একজন মহিলা যিনি সাফল্য যে সাফল্য পেয়েছেন, তা পাকিস্তানে অনেকেই পাননি। তবে ওই ছবিটি দেখার পরই আমার মনে হয়েছিল, এরপর কী হতে চলেছে! ওই ছবিটা আমার কাছে ছিল ঠিক অভিশাপের মতো।’
মাহিরা অকপটে স্বীকার করে বলেন, ‘মিথ্যে বলব না, সেসময়টা আমার কাছে খুবই কঠিন ছিল। মানুষের সমালোচনায় আমি ভেঙে পড়েছিলাম। প্রতিদিন বিছানায় শুয়ে কাঁদতাম। বিছানা ছেড়ে উঠতেই পারতাম না। সেসময় আমার পেশাগত ও ব্যক্তিগত জীবনেও অনেককিছু ঘটেছে। সেসময় আমার বিয়ে ভেঙেছে, আমি একা হাতে ছেলেকে বড় করছিলাম, তার ওপর প্রতিবেশী দেশে পাকিস্তানি শিল্পীদের ওপরে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল। সব মিলিয়ে খুবই কঠিন ছিল সেই সময়, কাউকে বুঝতে দিইনি। সবটা নিজে সামলে ছিলাম।’
প্রসঙ্গত, সে সময় রণবীর-মাহিরার ওই ছবি দেখে তাঁদের প্রেমের গুঞ্জনও ছড়িয়ে পড়েছিল। যদিও এই বিষয়ে কোনওদিনই কোনও কথা বলেননি রণবীর। তবে সময় বদলে গেছে, ফের বিয়ে করেছেন পাকিস্তানের মাহিরা। অন্যদিকে, কাপুর পুত্র রণবীরও এখন ঘোর সংসারী ও এক সন্তানের বাবা।
