অশোক হল গার্লস স্কুল আয়োজিত এক অভিনব মনন – গণিত প্রদর্শনী

কলকাতা জেলা শহর

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: গতকাল শুক্রবার থেকে কলকাতার অশোক হল গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রীদের উদ্যোগে আয়োজিত হল গণিত প্রদর্শনী অনুষ্ঠান। এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের প্রতিভা প্রদর্শন করা হয়। এই প্রদর্শনীতে ষষ্ঠ থেকে নবম এবং একাদশ শ্রেণির প্রায় ৫০০জন ছাত্রী অংশগ্রহণ করে। সবথেকে আশ্চর্যের বিষয় হল তারা প্রায় ৩০০ র বেশি গাণিতিক বিভিন্ন মডেল ও চার্ট বানিয়ে তাদের বুদ্ধিমত্তাকে এক অন্যমাত্রায় পৌঁছে দেওয়ার নিদর্শন রাখে। এই স্কুলের ছাত্রীরা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অন্তর্গত সমাজে পিছিয়ে পড়া মেয়েদের গণিতের নানান কৌশল শেখানোর জন্যও বিভিন্ন কাজ করছে। এর ফলে তাদের মধ্যে সামাজিক কর্তব্যবোধও গড়ে উঠছে। এই স্কুলের ছাত্রীদের দ্বারাই ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ছাত্রীরা গণিতের ওপর বিভিন্ন মডেল বানিয়ে তার প্রদর্শন করা হয়।


এই অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. পার্থ কর্মকার (উপসচিব, পশ্চিমবঙ্গ কর্মসংস্থান পরিষেবা), জ্যোতির্বিজ্ঞানী ড. দেবীপ্রসাদ দুয়ারী এবং শ্রীরামপুর কলেজের গণিতের অধ্যাপক দীপঙ্কর চৌধুরী।


ড. পার্থ কর্মকার তাঁর বক্তব্যের মাধ্যমে গণিতের বেশ কিছু সহজ পদ্ধতি ও কৌশল তুলে ধরেন। সেখানে ক্যালেন্ডার ও ঘড়ির ব্যবহার করে তিনি শিক্ষার্থীদের কাছে গণিতকে আরও সহজ ও শিক্ষণীয় করে তোলার বিষয়ে অনুপ্রাণিত করেন। এর ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে গণিতের প্রতি যে ভয় থাকে তা কাটানোর প্রধান সহায়ক হয়ে ওঠে।

জ্যোতির্বিজ্ঞানী ড. দেবীপ্রসাদ দুয়ারী জানান, ‘প্রতিটি বিষয়ের সঙ্গে গণিত ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। গণিতের জ্ঞান থাকলে অন্যান্য বিষয়ে দ্রুত সাফল্য আসতে বাধ্য।’ শ্রীরামপুর কলেজের অধ্যাপক দীপঙ্কর চৌধুরী বলেন, ‘জীবনে প্রতিটি ক্ষেত্রে গণিতের গুরুত্ব রয়েছে।’
স্কুলের প্রিন্সিপাল ড. আত্রেয়ী সেনগুপ্ত তাঁর বক্তব্যে জানান, ‘সামাজিক অন্তর্ভুক্তি ও দায়বদ্ধতা প্রদর্শনের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ছাত্রীদের সামনে গাণিতিক দক্ষতা প্রদর্শন করতে পেরে আমরা রোমাঞ্চিত। আমাদের মূল লক্ষ্য হল বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মেয়েদের প্রতিভার যথাযথ মূল্য প্রদান করা।’
এদিনের অনুষ্ঠানে আর্যভট্ট, আর্কিমিডিস ও রামানুজ সেজে ছোট ছোট ছাত্রীরা বক্তব্য রেখেছিল যা, দর্শকের মন জয় করে নিয়েছিল।

এই প্রদর্শনের মূল হাইলাইট ছিল –
১. 3D মডেল ও চার্ট প্রদর্শনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে গাণিতিক ধারণা গড়ে তোলা।

  1. স্বেচ্ছাসেবীর সংস্থা পিছিয়ে পড়া মেয়েদের সামাজিক অন্তর্ভুক্তি করানো।
  2. বিখ্যাত বিশেষজ্ঞদের গণিতের গুরুত্ব সম্পর্কিত বাণী প্রচার করা।