নিউজ পোল ব্যুরো, নদিয়া : সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরে মৃত্যুর ঘটনা কোনও নতুন নয়। এমনিই এক ঘটনা ঘটেছে নদিয়ার হোগলবেড়িয়ার অরৎপুরের হরিপুর গ্রামে। অনেকদিন থেকে মা’কে চাপ দিচ্ছিল ছেলে, সম্পত্তি তাঁর নামে লিখে দেওয়ার জন্যে। যুবকের নাম বাপ্পা মণ্ডল। এই ঘটনার সময় বাপ্পার দাদা তাঁকে বাঁধা দিতে আসে কিন্তু সেই বাঁধা উপেক্ষা করে নিজের দাদাকেই খুন করে বসে বাপ্পা! পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে মৃতের নাম বাপন মণ্ডল। হরিপুর গ্রামে বাপন এবং বাপ্পা তাঁদের মা’কে নিয়ে একসঙ্গে বসবাস করতেন। তাঁদের বাবা অনেক আগেই গত হয়েছেন। এরপরই তাঁদের মা তাঁদের দুই ভাইয়ের নাম সম্পত্তি ও জমিজমা সমানভাবে ভাগ করে দেন। তাঁদের মায়ের নামে ছিল জমিজমার সামান্য অংশ। সেই অংশটুকুও ছোট ছেলে বাপ্পা তাঁর নামে লিখে দেওয়ার জন্য মাকে ক্রমাগত চাপ দিতে থাকে। শুক্রবার সন্ধ্যের পরেও বাপ্পা তাঁর মাকে সম্পত্তি নিয়ে চাপ দেওয়া দিচ্ছিল।
বড় ছেলে বাপন মণ্ডল গৃহশিক্ষক। বাড়ি ফিরে এমন ঘটনা দেখে সে তীব্র প্রতিবাদ করেন। ঘটনাস্থল থেকে ভাইকে সরিয়ে আনার চেষ্টা করেন। তারপর দুই ভাইয়ের মধ্যে শুরু হয় প্রবল ঝামেলা। ঝামেলা চলাকালিনই বাপ্পা তাঁর দাদার মাথায় একটি কাঠ দিয়ে আঘাত করেন। এই আঘাতের ফলে মাথা ফেটে গিয়ে সেখান থেকে রক্তক্ষরণ হয় এবং তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। স্বামীকে বাঁচাতে স্ত্রী ছুটে এলে একইভাবে তাঁকেও মাথায় কাঠ দিয়ে আঘাত করা হয়।
স্বামী স্ত্রী দু’জনকেই উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় করিমপুর হাসপাতালে। রাতে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটার ফলে তাঁদের পাঠানো হয় শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে। আজ শনিবার সকালে মৃত্য হয়েছে বাপন মণ্ডলের। এরই মধ্যে পুলিশ বাপ্পাকে গ্রেফতার করেছে এবং এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।