মৃণাল কান্তি সরকার, শান্তিনিকেতন:- এটাই পাঠভবন। এর সঙ্গে গোটা বিশ্বের কোন বিদ্যালয়ে বা কোন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনা হয় না। তার কারণ এখানে ছোট থেকেই সব কাজে পারদর্শী করে তোলা হয় ছাত্র-ছাত্রীদের। না কোন বল প্রয়োগ নয় ওরা কাজ শেখে ওদের নিজেদের কাজ শেখার আনন্দেই। মানুষ তৈরীর কারখানায় ওরা নিছকই সত্যিকারের একজন কারিগর। এই কারিগর হতে যিনি সর্বতোভাবে আজও সাহায্য করে চলেন তার নাম বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
উনি চেয়েছিলেন খোলা আকাশের নিচে প্রকৃতির মাঝে থেকে এই আশ্রম হয়ে উঠবে এক মানুষ তৈরীর কারখানা। দুদিন পরেই পাঠভবনের বার্ষিক অনুষ্ঠান। তার কর্মযোগ্য চলছে এখন আম্রকুঞ্জ জুড়ে। স্কুলের শেখানো আলপনায় আজ তারা নিজে হাতে দিচ্ছে এই আম্রকুঞ্জে। হাল ফেশানের তুলি বা অন্য কোন যন্ত্রের সাহায্যে নয়। একেবারেই পাঠভবনের শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে নিজেরাই হাতে করে এই আলপনা দিয়ে ফুটিয়ে তুলছে তাদের কর্ম কুশলতাকে। একদিকে যখন পুনর্মিলন উৎসব নিয়ে ব্যস্ত সকলেই তখন পাঠভবনেরই নবম এবং দশম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীরা মেটে উঠেছে আম্রকুঞ্জ কে রাবীন্দ্রিক সৌন্দর্যের ফুটিয়ে তুলতে। বাঁধাধরা কোন নিয়ম নয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিক্ষা যে কত বড় এবং উচ্চমানের সাত সকালে শান্তিনিকেতনে আমরা কুঞ্জে এলে সেই ছবি সকলের চোখে ধরা পড়বে।