নিজস্ব প্রতিনিধি, কোন্ননগর : বলপেন দিয়ে পাস্তায় লিখে রেকর্ড গড়লেন কোন্নগরের এক যুবক। সৌম্যদীপ হালদারের কাজ এবার ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে জায়গা করে নিয়েছে। অসাধারণ হাতের কাজে তাক লাগিয়ে দিলেন হুগলির এই যুবক। এই কাজের মাধ্যমে তিনি ভবিষ্যতে এশিয়ান বুক অফ রেকর্ডস এবং গিনিস বুক অফ রেকর্ডসেও নাম তুলতে চান।
এই প্রজন্মের কাছে ফাস্ট ফুড অত্যন্ত প্রিয়। আর তার মধ্যে পাস্তা খান না এরকম মানুষ খুব কমই আছে। পাস্তা দিয়ে নানা রেসিপি তৈরি করে রন্ধনশিল্পীরা মানুষের মন জয় করে নিচ্ছে। আর সেই পাস্তার ওপর এবার নাম লিখে রেকর্ড গড়লেন কোন্নগরের যুবক সৌম্যদীপ হালদার। রাজাবাজার সায়েন্স কলেজ থেকে রসায়নে মাস্টার্স করেছেন। নেটের প্রস্তুতি চলছে তাঁর।
জানা গেছে, কলেজে গিয়ে একদিন বন্ধুদের সঙ্গে মানিকতলা চত্বরে একটি কাফেতে খেতে যান সৌম্য। পাস্তা তাঁর প্রিয়। সেখানে টেবিলে বসে বন্ধুদের সঙ্গে বিস্কুট স্ন্যাকসে ছাপানো এমব্লেম নিয়ে কথা বলতে বলতে মাথায় আসে পাস্তায় যদি এমন এমব্লেম করা যায় কেমন হয়! সেই ভাবনা থেকেই বাড়িতে একদিন পাস্তায় লেখার চেষ্টা করেন। প্রথমে সফল না হলেও, কয়েক বারের চেষ্টায় সফল হন এবং সাত মিনিট চুয়ান্ন সেকেন্ডে দশটি পাস্তার ওপর লাল সবুজ কালির বল পেন দিয়ে নিজের পিরিয়ডিক টেবিল লিখে ফেলেন সৌম্যদ্বীপ। আর তাতেই সাফল্য পেলেন সৌম্য।
অক্টোবরে সেই লেখা ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে জমা দিয়ে আবেদন করেন। নভেম্বরে জানতে পারেন মনোনীত হয়েছেন। সেই রেকর্ডস বাড়িতে এসে পৌঁছনোয় খুশি পরিবারের সবাই। সৌম্যদীপের বাবা জানতেনই না ছেলের কীর্তি। পুরষ্কার বাড়িতে আসার আগে জানতে পারেন বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে নতুন কিছু করার চেষ্টা করে সৌম্যদীপ। বাংলার এই কৃতী বিজ্ঞানের ছাত্র আগামী দিনেও দেশকে নতুন কিছু উপহার দিতে পারবেন বলে তাঁর বন্ধু-বান্ধব ও পরিজনরা মনে করছেন।
সৌম্যদ্বীপ বলেন, ‘আমি নিজে খেতে খুব ভালোবাসি। পাস্তা আমার প্রিয় খাবার আর রসায়ন আমার প্রিয় বিষয়। সেই খাবার আর রয়াসনকে মিলিয়ে এই ধরনের একটা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম তুলে খুব ভালো লাগছে। এরপর এশিয়া বুক অফ রেকর্ড এবং গিনিস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে অন্য কাজ পাঠানোর ইচ্ছা আছে।’