নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝাড়গ্রাম: ঝাড়গ্রামের পর এবার পুরুলিয়া। আতঙ্কে জঙ্গলঘেরা গ্রামের সাধারণ মানুষ। শনিবার গভীর রাতে ঝড়গ্রামের বেলপাহাড়ির কাঁকড়াঝোড় জঙ্গল থেকে জিনাত পুরুলিয়ার বন্দোয়ান জঙ্গলে ঢুকেছে বলে খবর। সকাল ১০টা নাগাদ লাস্ট লোকেশন ট্র্যাক করা গিয়েছে। কংসাবতী দক্ষিণ বন বিভাগের বান্দোয়ানের রাইকা পাহাড়ের চূড়ায় রয়েছে জিনাত।
জানা গিয়েছে, তিন বছরের বাঘিনীটি ঝাড়গ্রামের কাছে একটি জঙ্গলে হাঁটতে হাঁটতে ওড়িশা সীমানা অতিক্রম করে। জিনাতের গলায় থাকা রেডিও কলার বলে যে সে রাতভর হস্তি প্রকল্পের আওতায় ঘুরেছে। এরপর সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ পুরুলিয়ার বান্দোয়ানের এক জঙ্গল এলাকায় ঘাগড়া থেকে রেডিও সিগন্যাল মিলেছে। তিনি সকাল ১০টায় রাইকা পাহাড়ের চূড়ায় পৌঁছয়। মনে করা হচ্ছে, জিনাত এই জঙ্গলেই ঘাপটি মেরে আছে। তবে শ্যাডো জোন হওয়ায় তারপর থেকে আর খোঁজ মেলেনি। বন দফতরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে গেছেন।
এর মধ্যেই সিমলিপাল টাইগার রিজার্ভ ফরেস্ট থেকে নতুন জায়গার সন্ধানে বেরিয়ে পড়ে যমুনা নামের একটি বাঘও। সে তখন বেলপাহাড়িতে। ওড়িশা ছেড়ে আগে চলে-আসা বাঘ জিনাত এবং পরে-আসা যমুনা উভয়কেই আনা হয়েছিল মহারাষ্ট্রের তাডোবা অন্ধেরি টাইগার রিজার্ভ ফরেস্ট থেকে। আড়াই বছর বয়সী যমুনা সিমলিপাল থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে কুলডিহা ওয়াইল্ড স্যাংচুয়ারি দিকে ১৫ ডিসেম্বর নাগাদ বেরিয়ে যায়। যমুনাকে আনা হয়েছিল ৯ নভেম্বর। জিনাতের পেছন পেছন তারা বাংলায় ঢুকেছেন। এরই মধ্যে পুরুলিয়া ঢুকে গিয়েছ তারা। আজ দুপুরের মধ্যে ঝাড়গ্রাম থেকে বান্দোয়ানে আসছে সুন্দরবনের টিমও। তাঁরা মূলত কীভাবে খাঁচা পাতা হবে, কীভাবে টোপ দেওয়া হবে, কীভাবে বাঘটিকে ঘুম পাড়ানো হবে সেদিক নজর রাখছে। তৎপর রাজ্য বনাধিকারিকরাও।