নিউজ পোল স্পোর্টস ব্যুরো: প্যারিস অলিম্পিকসে পিস্তল শুটিংয়ে জোড়া পদক, ব্রোঞ্জ জয়ী মনু ভাকর। এ বছরের খেলরত্ন পুরস্কারের তালিকায় তাঁর নাম নেই! সরকারি সূত্রে বলা হয়েছে, নিয়ম মেনে পদকের জন্য মনু আবেদন করেননি!
মনুর বাবা রামকৃষ্ণ ভাকরের দাবি, ‘আবেদন করা হলেও, তার প্রাপ্তি স্বীকার করেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ!’
উল্লেখ্য, প্রয়াত রাজীব গান্ধীর নামাঙ্কিত খেলরত্ন খেতাব দেওয়া হত। নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় বসে, রাজনীতিকের নাম বাদ দিয়ে সেই নাম বদলে ভারতীয় হকির কিংবদন্তি ধ্যানচাঁদের নাম যুক্ত করেন। তাতে অবশ্য ক্রীড়া ক্ষেত্রে শাসকের রাজনৈতিক দাদাগিরি কমেনি,বরং বেড়েই গিয়েছে।
কেন বলছি? একটু ‘ক্রনোলজি সমঝিয়ে ‘।
গত আগস্টে প্যারিস থেকে দেশে ফিরেই মনু দিল্লিতে পৌঁছে প্রথমেই দেখা করেছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর সঙ্গে। ঘটনাচক্রে, তখন হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচন কড়া নাড়ছে।
জল্পনা শুরু হয়, হরিয়ানার ভূমিপুত্রী মনুকে বিধানসভায় প্রার্থী করতে চলেছে কংগ্রেস। শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। কিন্তু রাহুল – মনুর সাক্ষাতের সেই ছবি তখন সংবাদের শিরোনামে।
এর আগেই কুস্তিতে পদক জয়ী তারকাদের সঙ্গে শাসক দলের নেতারা যে কুৎসিত বিতর্কে জড়িয়েছিলেন, তাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। সেই আবহে সদ্য পদক জয় করে দেশে ফিরেই একজন তরুণীকে পাশে পেলে বিজেপি কিছুটা হলেও ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা করতে পারতো। কিন্তু সে সুযোগ হাতছাড়া। মনু সটান চলে গিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা, মোদী শাহের চক্ষুশূল রাহুলের সঙ্গে দেখা করতে। যা সেই সময় হরিয়ানার ঘরোয়া রাজনীতির ক্ষেত্রে ডাবল ইঞ্জিন সরকারের কাছে বেশ বিড়ম্বনার বিষয়। বিড়ম্বনার অভিঘাত যে কত গভীর, যে হরিয়ানায় ক্ষমতায় ফেরার হ্যাট্রিকের পরেও তার রেশ কাটেনি।
বছর শেষে সোমবার ধ্যান চাঁদ খেল রত্ন প্রাপকদের নাম ঘোষণা হল। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ভি রামা সুব্রহ্মন্যমের নেতৃত্বে গঠিত ১২ সদস্যের জুড়ি বোর্ড মনুর নাম রাখেননি তাঁদের তালিকায়।