‘ডিজিটাল গ্রেফতার’ বেঙ্গালুরুর বধূ!

অপরাধ আইন দেশ

নিউজ পোল ব্যুরো: বারবার সচেতন করার পরেও ঘুম ভাঙছে না নাগরিকদের! ফের সাইবার প্রতারকদের হাতে ১১ দিন ডিজিটাল গ্রেফতার বেঙ্গালুরুর এক নববধূকে! হারালেন ৩০ লাখ টাকা। এই টাকা আদায় করার জন্য তাঁকে কয়েক ঘন্টা ধরে বসিয়ে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ। এর পাশাপাশি চলছিল ভুয়ো জিজ্ঞাসাবাদ।

পরিস্থিতির চাপে পড়ে ৪৬ বছর বয়সী ওই মহিলাকে তিনটি ফিক্সড ডিপোজিট ভাঙতে হয়। প্রতারকরা তাঁর থেকে ৩০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন বলে অভিযোগ। ঘটনার সূত্রপাত ৩ ডিসেম্বর। প্রথমে তিনি টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার একজন প্রতিনিধির কাছ থেকে ফোন পান। এরপর মুম্বইয়ের এক পুলিশ আধিকারিকের পরিচয়ে। তৃতীয়বার সিবিআই আধিকারিকের নামে একটি ভিডিও কল আসে।

প্রতারকরা তিনটি ভিন্ন পরিচয়ে ওই বধূর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ভারতের টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটির কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে তাঁকে বলা হয়, তাঁর বিরুদ্ধে মুম্বইয়ে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। সিম কার্ডের মাধ্যমে তাঁর নামে আপত্তিকর বার্তা পাঠানো হয়। দ্বিতীয় ফোন আসে মুম্বইয়ের পন্থনগর থানার সাব-ইন্সপেক্টরের পরিচয়ে। দ্বিতীয়বার তাঁকে কয়েক ঘণ্টা জেরা করা হয় বলে জানা গেছে। এরপর তাকে পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে মুম্বই থানায় হাজির হতে বলা হয়। তিনি তাতে রাজি না হলে, প্রতারকরা ডিজিটালভাবে মহিলাটিকে গ্রেফতার করে। ঘটনাটি তাঁর স্বামী বা তাঁর শ্বশুরবাড়ির কেউই জানতেন না।

আর্থিক দুর্নীতির ভুয়ো মামলায় তাঁকে পাঁচ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে অভিযোগ। অবশেষে, তথ্য যাচাই করার জন্য তাঁকে টাকা পাঠাতে বলা হয়। সেই মতো ৯৯ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেন ওই মহিলা। এরপর প্রতারকদের কথামত তাঁকে তিনটি ফিক্সড ডিপোজিট ভেঙে ফেলতে হয়। ১০ লক্ষ, ৯ লক্ষ ও সাড়ে আট লক্ষ টাকার তিনটি ফিক্সড ডিপোজিট ভেঙে প্রতারকদের টাকা দেন।

১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর আরও নব্বই হাজার টাকা পাঠান। তারপরের দিন থেকেই মহিলা আর প্রতারকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে থানায় অভিযোগ জানান বেঙ্গালুরুর ওই মহিলা। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।