নিজস্ব প্রতিনিধি, হুগলি: ওয়ার্ক কালচার নেই বলে ছয় কোটি টাকা কর আদায় বাকি পুরসভার, দাবি বিধায়ক অসিত মজুমদারের। স্বাস্থ্য দফতরের পুর পারিষদ জয়দেব অধিকারীর সঙ্গে তীব্র বিতন্ডায় জড়ালেন চেয়ারম্যান। সকালে এই নাটকীয় মুহূর্তের সাক্ষী রইলেন পুরসভার কর্মীরা!
উল্লেখ্য, গত দু’মাস বেতন পায়নি বলে কাজ বন্ধ করে আন্দোলন করছিলেন পুরসভার অস্থায়ী কর্মচারীরা। যে কারনে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয় পুরসভায়। জঞ্জালে ভরে যায় শহর। অবশেষে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে রাজ্য সরকার তিন কোটি টাকা দেওয়ায় আজ মঙ্গলবার সেই বকেয়া বেতন দেওয়া হবে কর্মীদের। তবে আগামী মাসগুলোতে কিভাবে বেতন দেওয়া হবে তা নিয়ে চিন্তা রয়েছে। কর্মীদের বেতন দিতে মাসে দেড় কোটি টাকার প্রয়োজন পুরসভার। সেই টাকার সংস্থান করতে হলে পুরসভার কর আদায়ে জোর দিতে হবে।
বিধায়ক অসিত মজুমদারের অভিযোগ, পুরসভার ওয়ার্ক কালচার নেই বলে গত ৮ মাসে প্রায় ৬ কোটি টাকা কর আদায় বাকি পড়ে গেছে। এই অবস্থায় পুরসভার ওয়ার্ক কালচার ফেরানো খুব জরুরী। তাই আজ নিজে খাতা নিয়ে পুরসভার কর্মীদের সই করিয়ে সময় অফিসে আসতে হবে, নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে হবে বলে জানান বিধায়ক। তিনি বলেন, ‘আমি অনেকদিন থেকেই বলে আসছি, পুরসভার ওয়ার্ক কালচার ফেরাতে না পারলে কর্মীদের বেতন দেওয়া যাবে না। দশ লক্ষ টাকা এখন পুরসভায় আছে মাস শেষ হলেই দেড় কোটি টাকা লাগবে। কোথা থেকে আসবে তা ভাবতে হবে।’
আর বিধায়কের এই পুরসভা নিয়ে অতি সক্রিয়তায় আপত্তি জানান চেয়ারম্যান অমিত রায়। অমিত রায় বলেন, ‘এটি একটি স্বশাসিত সংস্থা। এখানে বিধায়কের কোনও কাজ নেই। তবুও তিনি কেন করছেন জানি না! কেন এসেছিলেন তাও জানি না! পৌরসভার কর্মীরা সময়ে আসেন কাজ করেন। কর আদায় সেই কর্মীরাই করবেনল বাইরের লোক করবে না। আমি স্টান্টে বিশ্বাস করি না।’
হুগলি জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, ‘তৃণমূলের আশীর্বাদে চুঁচুড়া পৌরসভা এখন রঙ্গমঞ্চে পরিণত হয়েছে। এখানে সাধারণ মানুষ কোন পরিষেবা পায় না। এখানে শুধু কুস্তি হয়। যেখানে বিধায়কের সঙ্গে চেয়ারম্যানের কুস্তি হচ্ছে। মানুষ যাচ্ছে বিনোদন দেখতে। পরিষেবা কিছুই পায় না।’