নিউজ পোল ব্যুরো: জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্য নির্বাচন মৌলিকভাবে ত্রুটিপূর্ণ বলে দাবি কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও মল্লিকার্জুন খাড়্গের।সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি ভি রামসুব্রামানিয়ানকে কমিশনের নবম চেয়ারপারসন হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে। কারণ পূর্বতন চেয়ারম্যান বিচারপতি অরুণ কুমার মিশ্রের কার্যকালের মেয়াদ এই বছরের ১ জুন শেষ হয়ে যায়।
উল্লেখ্য, চেয়ারপারসন ছাড়াও প্রিয়ঙ্ক কানুনগো এবং ডঃ বিচারপতি বিদ্যুৎ রঞ্জন সারেঙ্গীকে কমিশনের সদস্য হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। এই তিনটি পদের নিয়োগ নিয়ে এখন প্রশ্ন তুলছেন রাহুল গান্ধী এবং মল্লিকার্জুন খাড়্গে।
তাঁদের দাবি,পারস্পরিক সহমত এবং পরামর্শের মাধ্যমে এমন নিয়োগের প্রচলনকে অস্বীকার করে পূর্ব সিদ্ধান্ত মতো নিয়োগ করা হয়েছে। এর ফলে এই নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা ক্ষুন্ন হয়েছে। তাই নির্বাচন কমিটির গ্রহণযোগ্যতা সম্পর্কে প্রশ্ন রয়েছে। সংখ্যারিষ্ঠের মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে কমিটি ওই নামগুলি চূড়ান্ত করেছে বলে অভিযোগ রাহুল ও খাড়্গের।
আপত্তি সত্ত্বেও ওই দুই কংগ্রেস নেতা অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রহিনটন ফলি নারিম্যান ও অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি কুট্টিইল ম্যাথু জোসেফের নাম চেয়ারপারসন হিসেবে প্রস্তাব করেন। কমিশনের সদস্য হিসেবে তাঁদের প্রস্তাবিত নাম দুটি যথাক্রমে এস মুরলীধর এবং প্রাক্তন বিচারপতি আকিল আব্দুল হামিদ কুরেশি। ১৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কমিটি কমিশনের পরবর্তী চেয়ারপারসন ও সদস্যদের নির্বাচিত করে।