নিজস্ব প্রতিনিধি,কলকাতাঃ- অনেকেই শীতের এই মরশুমে সুন্দরবনে আসেন। কিন্তু এই বছর অনেক পর্যটকই হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন। কারণ, সুন্দরবনের গভীরে ঢুকে বন্যপ্রাণী দেখার অনুমতি মিলছে না।
সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের নতুন নিয়ম অনুযায়ী, প্রতিদিন সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার পর্যটক এবং ১৫০টি নৌকা জঙ্গলে ঢুকতে পারবে। অনলাইনে আগে থেকেই বুকিং করতে হবে। কিন্তু এই সীমা অতিক্রম করার সাথে সাথেই বুকিং বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ফলে অনেক পর্যটকই ফিরে যাচ্ছেন।
আগে অফলাইনেও অনুমতি মিলত। কিন্তু এখন সম্পূর্ণ অনলাইনেই বুকিং হওয়ায় এই নিয়ম কঠোরভাবে মানা হচ্ছে। এছাড়া, পর্যটক পিছু অনুমতি মূল্য, জলযানের মূল্য, গাইডের মূল্য সবই বাড়ানো হয়েছে।
সুন্দরবনে শীতের মরশুমে পর্যটকদের ভিড় সবচেয়ে বেশি হয়। এই সময় প্রতিদিন দশ থেকে বারো হাজার পর্যটক আসেন। কিন্তু সীমিত সংখ্যক পর্যটককেই জঙ্গলে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে।
বেহালার দুই বাসিন্দা জানান, “তাঁরা দু’দিন চেষ্টা করেও অনলাইনে বুকিং করতে পারেননি। তাই হতাশ হয়ে ফিরে যেতে গিয়েছেন তাঁরা।”
এই সমস্যার ফলে পর্যটন ব্যবসায়ীরাও বিপাকে পড়েছেন। অনেক পর্যটকই প্যাকেজ বুকিং করে এসে জঙ্গলে ঢুকতে না পেরে ক্ষুব্ধ হচ্ছেন। ক্যানিং এবং কুলতলির পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলেন, “ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যদি এই নিয়ম শিথিল করা হত, তাহলে পরিস্থিতি কিছুটা সামলাতে পারা যেত।”
সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের ডেপুটি ফিল্ড ডিরেক্টর জোন্স জাস্টিন বলেন, “আমরা জঙ্গলে অতিরিক্ত পর্যটককে ঢুকতে দিতে পারি না। কারণ, বন্যপ্রাণী এবং পরিবেশের ক্ষতি হতে পারে। আগে অফলাইনে বুকিং হওয়ায় নিয়ম মানা হত না। কিন্তু এখন অনলাইনে বুকিং হওয়ায় নিয়ম কঠোরভাবে মানা হচ্ছে।”
অন্যদিকে, পর্যটকরা চান সরকার এই নিয়ম কিছুটা শিথিল করুক। কারণ, তাঁরা দূর থেকে এসে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন।