নিউজ পোল ব্যুরো: ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়ার বক্সিং ডে টেস্টের প্রথম দিনের প্রথম সেশনেই বিতর্কে জড়ান বিরাট কোহলি। দিনের খেলা শেষ হতে না হতেই তাঁর শাস্তিও পেলেন ভারতীয় তারকা। কোহলির ম্যাচ থেকে প্রাপ্ত বেতনের ২০ শতাংশ তো কাটা গেলই, পাশাপাশি তাঁকে এক ডিমেরিট পয়েন্টও দিয়েছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা।
আইসিসির নিয়মের ২.১২ ধারা অনুযায়ী ক্রিকেটার, সাপোর্ট স্টাফ, আম্পায়ার, ম্যাচ রেফারি বা অন্য কারও (দর্শকও) সঙ্গে অনুপযুক্ত শারীরিক সংঘর্ষের ক্ষেত্রে শাস্তির বিধান রয়েছে। ক্রিকেটে অনুপযুক্ত শারীরিক সংঘর্ষের কোনও জায়গা নেই। সেই মুহূর্তের পরিস্থিতি বিচার করে আম্পায়াররা দেখতে পারেন যে অপরাধ ইচ্ছাকৃত ছিল কি ছিল না। আর সেই বিচারেই বিরাটের ম্যাচ ফি’র ২০ শতাংশ জরিমানা করা হল।
নিয়মে আরও বলা হয়েছে, যদি কোনও ক্রিকেটার নিয়ম ভেঙে ইচ্ছাকৃত, বেপরোয়াভাবে বা অনিচ্ছাকৃত ভাবে কোনও ক্রিকেটার বা আম্পায়ারের সঙ্গে শারীরিক সংঘর্ষ করেন সেক্ষেত্রে এই নিয়ম বলবৎ হবে। আর সেই নিয়মেই জরিমানা হল বিরাটের।
একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল, যদি বিরাট ৪ ডিমেরিট পয়েন্ট পান, সেক্ষেত্রে সিডনি টেস্টে তিনি নির্বাসিত হতে পারেন। কিন্তু তা হচ্ছে না। জরিমানা দিয়েই এই যাত্রায় বেঁচে যাবেন বিরাট। প্রসঙ্গত, মেলবোর্ন টেস্টের ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডু পাইক্রফট। তিনিই এই বিষয়টি খতিয়ে দেখেন ও শাস্তির নিদান দেন। আইসিসি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তা জানিয়ে দেয়।
গোটা বিষয়টিকে হালকাভাবেই নিয়েছেন কনস্টাস, যার প্রিয় ক্রিকেটার নাম বিরাট কোহলি। তিনি দ্বিতীয় সেশনে সাক্ষাৎকারে জানান, ‘আমার মনে হয় আমরা দুইজনেই আবেগতাড়িত হয়ে গিয়েছিলাম। আমি নিজের দস্তানা ঠিক করছিলাম এবং তখনই কাঁধে ধাক্কা লাগে। প্রথমে বিষয়টা বুঝতেই পারিনি আমি। তবে ঠিক আছে ক্রিকেটে এগুলি তো হয়েই থাকে।’
আইসিসির শাস্তি তো বটেই, ১৯ বছরের কনস্টাসের সঙ্গে ৩৬ বছরের বিরাটের এহেন কর্মকাণ্ডে কিন্তু ভারতীয় তারকাকে প্রবল সমালোচনায় বিদ্ধ করেছেন প্রাক্তনীরাও। গোটা বিষয়টা অনভিপ্রেত ছিল বলেই মনে করছেন সকলে।