নিউজ পোল ব্যুরো: পুরুলিয়ার পর এবার বাঁকুড়ায় ফের বাঘিনী জিনাতের আতঙ্ক। শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে জালের ফাঁক দিয়ে পালাতে সফল হয়েছে এই বাঘিনী। ফলে লোকালয়ের মধ্যে বাঘিনীর উপস্থিতি আতঙ্কের ছায়া বিস্তার করেছে।
বাঘিনী জিনাত বা গঙ্গাকে ধরতে বনদফতরের তরফে বিস্তৃত তল্লাশি অভিযান চলছে। ট্র্যাকার, ড্রোন এবং নাইট ভিশন ক্যামেরার মতো আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করেও বাঘিনীর সঠিক অবস্থান নির্ণয় করা যাচ্ছে না। স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ৪ ঘন্টা অন্তর অন্তর বাঘিনীর আনুমানিক অবস্থান জানা যাচ্ছে। কিন্তু, বাঘিনী তার অবস্থান ঘন ঘন বদলাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। বাঘিনীর শরীরে সংযুক্ত চারটি ট্র্যাকারও কোনো সঠিক তথ্য দিতে পারছে না। প্রায় ৩০ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে বাঘিনীর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। শনিবার সকালে বাঘিনীকে কুমারী নদী পার করে কাঁসাইয়ের পাড় ধরে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। মানবাজার ১ নম্বর ব্লকের ধানাড়া পেরিয়ে বর্তমানে বাঁকুড়ার মুকুটমণিপুর জলাধারের কাছাকাছি অঞ্চলে রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বনকর্মীরা জানিয়েছেন, প্রবল শীতের কারণে বাঘিনী জলাধারের জল এড়িয়ে চলছে। যদি সে জলাধার পার হতো, তাহলে দক্ষিণ বাঁকুড়ার বারো মাইল জঙ্গলে ঢুকে যেতে পারত।
গত রবিবার থেকে পশ্চিমবঙ্গের বনদপ্তরের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে সিমলিপাল ব্যাঘ্র প্রকল্প থেকে আসা বাঘিনী জিনাতকে ধরা। ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ি হয়ে ময়ূরঝর্ণা এবং বান্দোয়ান অতিক্রম করে বাঘিনী এখন বাঁকুড়া জেলায় পৌঁছেছে। জিনাতকে ধরতে বনদপ্তরের তরফ থেকে নানা কৌশল অবলম্বন করা হয়েছে। সুন্দরবনের বিশেষজ্ঞদের কৌশল অনুযায়ী জাল দিয়ে গোটা গ্রাম ঘিরে ফেলা হয়েছে। আবার হাতিও ব্যবহার করা হয়েছে বাঘিনীকে তাড়াতে। শুক্রবার রাতে ট্র্যাঙ্কুলাইজার দল জঙ্গলে ঢুকেছিল কিন্তু বাঘিনীকে বাগে আনতে ব্যর্থ হয়। রাতের অভিযানের মধ্যেই জিনাত ডাঙরডি মোড়ের জাল ভেঙে পালিয়ে যায় এবং লোকালয়ে ঘুরতে শুরু করে। শনিবার সকালে সে বাঁকুড়ার দিকে রওনা হয়।