নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: আর মাত্র হাতে গোনা দু’টো দিন তারপরেই নতুন বছর, এরইমধ্যে সেজে উঠছে চারিদিক। এবার নতুন বছরেই আরো এক সেজে ওঠার উদ্যোগ। তবে এ সাজ সাধারণ মানুষের জন্য। সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য নতুন ভাবে সাজবে ডায়মন্ড হারবার। বিশেষ উদ্যোগ ডায়মন্ড হারবারের বিধায়ক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
চলমান-হাসপাতাল, নতুন বছরেই ডায়মন্ড হারবারে বড় চমক দিতে চলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ২ জানুয়ারি ডায়মন্ডহারবারের এসডিও মাঠে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। কর্মসূচির সূচনা করবেন অভিষেক। প্রথম পর্বের কর্মসূচি চলবে ২ থেকে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত। গত নভেম্বর মাসে আমতলায় অডিটোরিয়ামে চিকিৎসকদের সঙ্গে আগেই ‘সমন্বয়’ নামে একটি বৈঠক করেছিলেন অভিষেক। এবার সেই বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্তকে কার্যকরী করার তাগিদেই তৎপরতা। বছর শুরুতেই ‘সেবাশ্রয়ে’ অভিষেক। ডায়মন্ড হারবার লোকসভায় শুরু হতে চলেছে ‘সেবাশ্রয়’।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হতে চলছে। ২ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে সেবাশ্রয় স্বাস্থ্য শিবির। অভিষেকের সংসদীয় ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য পরিষেবার জন্য হাজির থাকবেন চিকিৎসকরা। ২ জানুয়ারি ডায়মন্ডহারবারের এসডিও মাঠে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। কর্মসূচির সূচনা করবেন অভিষেক। প্রথম পর্বের কর্মসূচি চলবে ২ থেকে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত। এই পরিষেবার মাধ্যমে ডায়মন্ডহারবারের সাত বিধানসভায় করা হবে স্বাস্থ্য শিবির। সাধারণ মানুষের জন্য প্রতিটি বিধানসভায় থাকবে ১০ দিন করে শিবিরের পরিকল্পনা। দশ দিনের মধ্যে সাতদিন শিবির পরিচালনায় থাকবেন জেনারেল মেডিসিনের চিকিৎসকেরা। একেক দিন বিধানসভাভিত্তিক ৪০টি শিবির করার পরিকল্পনা রয়েছে। পরের তিনদিন সুপার স্পেশালিটি বিভাগের চিকিৎসকেরা থাকবেন। ‘চলমান-হাসপাতাল’-এর মাধ্যমে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া হবে বলে জানা যাচ্ছে। ‘চলমান-হাসপাতাল’-এর মাধ্যমে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া হবে বলে জানা যাচ্ছে।
এছাড়াও থাকবে রিয়েল টাইম আপডেটের ব্যবস্থা। তার জন্য জরুরি হেল্প ডেস্কও থাকবে। সমস্ত কর্মসূচি চলবে ৭৫ দিন ধরে। এই কর্মসূচি চলবে ৭৫ দিন ধরে। যার জন্য আটশোরও বেশি চিকিৎসক যোগ দেবেন শিবিরে। প্রতি শিবিরে অন্তত দু’জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থাকবেন।শিবিরের রক্ত পরীক্ষার পাশাপাশি পোর্টেবল ইসিজিও করা যাবে।
রক্তের হিমোগ্লোবিন পরীক্ষার সঙ্গে ডেঙ্গি পরীক্ষারও সুবিধা মিলবে। শুধু তাই নয় এমনকি রোগ ধরা পড়লে তৎক্ষণাৎ তা নির্ণয়ও করা হবে। বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াও বিনামূল্যে ওষুধও দেওয়া হবে শিবির থেকেই। তার জন্য অ্যাপ ভিত্তিক রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। সংকটজনক অবস্থায় রোগীদের জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজন হলে বারোটি সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে পৌঁছানো যেতে পারা যাবে বলে খবর।