লুচির থেকেও বড় ফুচকা! ভিড় জমছে পর্যটকদের

জেলা বিনোদন

নিজস্ব প্রতিনিধি, ব্যান্ডেল: ফুচকার নাম শুনলেই বাঙালির জিভে চলে আসে জল। ফুচকা যেন বাঙালির ইমোশন। আট থেকে আশি সকলের কাছেই ফুচকা জনপ্রিয়। কখনও টক জল বা কখনও চাটনি, এরকমই উপকরণ দিয়েই তৈরি করা হয় এই খাবার। ঝাল হোক বা ঝাল ছাড়া এই খাবারের জনপ্রিয়তা সবসময়তেই তুঙ্গে থাকে। তবে এবার জানুন ব্যান্ডেলে ‘রাজার’ ফুচকার জনপ্রিয়তা কতটা!

ক্রিসমাসের সময় অনেক পর্যটক ব্যান্ডেল চার্চে ভিড় করেন। সেখানে রয়েছে বিভিন্ন খাবারের স্টল। বছরের অন্যান্য দিনের মতোই প্রতিদিনই তাঁদের দেখা যায়। রয়েছে ফুচকার স্টল। তবে তাঁদের মধ্যে ব্যান্ডেল কেওটা সংহতি পল্লীর রাজা ঢালী নামে ২৯ বছর বয়সী যুবক তাঁদের মধ্যে থেকে নজর কেড়েছে। দোকানটি চার্চের পেছনে অবস্থিত। সেখানেই মা ও ছেলে পাশাপাশি ব্যবসা করছেন।

দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে চার্চের পেছনে ফুচকার ব্যবসা করতেন রবিন ঢালী। ২০১৮ সালে তিনি মারা যাওয়ার পর এখন তাঁর সেই ব্যবসা সামলাচ্ছেন তাঁর একমাত্র পুত্র রাজা। পিছিয়ে নেই তাঁর মা রেখা, তিনিও ছেলের পাশে বসেই ফুচকার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। কলেজে দ্বিতীয় বর্ষের পড়া শেষ করে ব্যবসায় নেমে করতে হয় তাঁকে। একসময় তাঁর বাবা এই বড় ফুচকা বানাতেন, এখন সেই ধারাই বজায় রেখেছেন তাঁর ছেলে। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে তাঁর ব্যবসা। এখন বড়দিন উপলক্ষে বিকিকিনি হচ্ছে ভালোই, খোলা থাকছে রাত পর্যন্ত।

এখানকার ফুচকা যেমন সুস্বাদু তেমনি এখানকার ফুচকায় দেওয়া হয় পিঁয়াজ। ছোট ফুচকার সঙ্গেই রয়েছে পেল্লাই সাইজের বড় বড় ফুচকা। যা রাখা রয়েছে কাঁচের বাক্সে। সহজেই চার্চে আসা পর্যটকদের নজর পড়ছে। কেউ আবার দাঁড়িয়ে সেলফি তুলছেন। তবে অনেকেই আছেন যারা বড় ফুচকা থেকে ছোট ফুচকার দিকেই বেশি ঝুঁকছেন। ছোট ফুচকা যেখানে ১০ টাকায় ৪ টি পাওয়া যাচ্ছে। সেখানে একটি বড় ফুচকার দাম ৭০ থেকে ৮০ টাকা। যদি চাটনি বা দই ফুচকা হয় তাহলে তার দাম প্রায় ১০০ টাকা পড়বে। তাই অনেকের সাধ থাকলেও সাধ্যের মধ্যে কুলোচ্ছে না। আবার অনেকে মনে করছেন একার পক্ষে এত বড় ফুচকা খাওয়া অসম্ভব, বন্ধু বান্ধব বা পরিবারের সকলে মিলে খেলে তখন খাওয়া যেতে পারে বড় ফুচকা।