কাজাখস্তানের পর এবার দক্ষিণ কোরিয়ায় বিমান দুর্ঘটনা!
নিউজ পোল ব্যুরো: রবিবার সকালে ঘটে গেল আরও এক ভয়ঙ্কর বিমান দুর্ঘটনা। যাত্রী সমেত বিমানবন্দরেই ভেঙে পড়ল বিমানটি। রবিবার সকালে দক্ষিণ কোরিয়ার বিমানবন্দরে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। দুর্ঘটনার সময় বিমানে সওয়ার ছিলেন ১৭৫ জন যাত্রী। তার মধ্যে ৬ বিমান কর্মীও ছিলেন। তাইল্যান্ড থেকে ফিরছিল বিমানটি। বিমানবন্দরে অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে আচমকাই পিছলে গিয়ে মাটিতে আছড়ে ভেঙে পড়ে। দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১২৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। তবে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে সূত্রের খবর। আপাতত একজনকে জীবিত বের করে আনা গিয়েছে বলে খবর।
সোশ্যাল মিডিয়ায় দুর্ঘটনার সময়কার যে ভিডিও সামনে এসেছে, তাতে দেখা গিয়েছে দুরন্ত গতিতে রানওয়েতে নেমে আসছে বিমানটি। কিন্তু মাটি ছোঁয়ার মুহূর্তে আচমকাই পিছলে যায় বিমানটি। রানওয়ে থেকে সরে যায় ক্রমশ। তার পর কিছুদূর গিয়ে দেওয়ালে সজোরে ধাক্কা মারে। তীব্র বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে চারিদিক। মুহূর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা গ্রাস করে বিমানটিকে।
রবিবার সকালে দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানটি ‘Jeju Air Plane’ সংস্থার বলে জানা গিয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, তাইল্যান্ডের ব্যাঙ্কক থেকে ফিরছিল বিমানটি। দেশের দক্ষিণে অবস্থিত বিমানবন্দরে অবতরণের ঠিক মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পর বিমানটি ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় কার্যত। দাউদাউ করে জ্বলছিল আগুন। কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী চোখে পড়ে বহু দূর থেকে। সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ উদ্ধারকার্য চালাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। বিমানটির টেল সেকশন, অর্থাৎ পিছনের অংশ থেকে যাত্রীদের উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে। দুই ইঞ্জিন বিশিষ্ট বিমানটি রানওয়ের থেকে একরকম পিছলে বিপথগামী হয়ে পড়ে বলে জানা গিয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট চোই সাং-মোক এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি উদ্ধারকার্যে জোর দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।