২০২৪এ সেলেব দুনিয়ায় সম্পর্কে ভাঙন

ক্রীড়া বিনোদন

নিউজ পোল ব্যুরো: হাসি, কান্না সহ বিভিন্ন অভিজ্ঞতা নিয়ে আরও একটি বছর শেষ হচ্ছে। অতীত হতে চলা এই ২০২৪ সালে শিরোনামে উঠে এসেছে নানারকম সুখময় স্মৃতি তাঁর সঙ্গে রয়েছে বেদনাদায়ক ঘটনা। সাধারণ মানুষের জীবনে যেরকম উত্থান-পতন ঘটে তেমনি সেলেব দুনিয়ায় সম্পর্ক ভাঙ্গনের খবরে চমকে উঠেছেন অনুরাগীরা। কেউ কেউ আবার বেছে নিয়েছে ডিভোর্স পথ। এবার দেখা যাক ২০২৪ সালে কোন কোন সেলেবদের সম্পর্কে ভাঙনে না ধরেছে।

এ আর রহমান ও সেরা বানু : ১৯৯৫ সালে বিয়ে হয়েছিল মিউজিক কম্পোজার এ আর রহমান ও সেরা বানু। দীর্ঘ ২৯ বছর তাঁরা একসঙ্গে কাটিয়েছেন। তাঁদের ৩ টি সন্তান রয়েছে – খাতিজা, রাহিমা ও আমিন। দীর্ঘ ২৯ বছর সম্পর্কে থাকাকালীন ২০ নভেম্বরে দুজনেই বিবাহ বিচ্ছেদের কথা জানান। তাঁরা জানিয়েছেন দুজনের সহমত এই সিদ্ধান্ত। তবে তাঁদের মধ্যে বন্ধুর্তপূর্ণ সম্পর্ক বজায় থাকবে। সোশ্যাল মিডিয়া সূত্রে খবর, এ আর রহমান নাকি তাঁর সহশিল্পী বঙ্গললনা মোহিনী দের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন তার জন্যই নাকি এই ডিভোর্স।

ধানুশ ও ঐশ্বর্য রজনীকান্ত: ২০০৪ সালে গাঁটছড়া বাঁধেন অভিনেতা ধানুশ ও প্রবীণ অভিনেতা রজনীকান্তের মেয়ে ঐশ্বর্য। তাঁদের দুই ছেলে যাত্রা ও লিঙ্গার। তাঁদের বিচ্ছেদের খবর অনেকের কাছে সহজ ছিল না। ৩ বার ডিভোর্স মামলার শুনানি এড়িয়েছিলেন ধানুশ ও ঐশর্য, তাই হয়তো তাঁদের অনুরাগীরা ভেবেছিল হয়তো শেষপর্যন্ত সম্পর্কটা টিকে যাবে। কিন্তু গত ২৭ নভেম্বরে আদালতে হাজির হয়ে নিজেদের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেন তাঁরা। যৌথভাবে তাঁরা বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, ‘বন্ধু হিসেবে, জুটি হিসেবে, বাবা-মা হিসেবে ১৮ বছরের এই পথ চলা। সফরটা ছিল মানুষ হিসেবে বেড়ে ওঠার, একে অপরকে বুঝে ওঠার, মানিয়ে চলার। আজ আমরা এমন এক সিদ্ধান্তে এসে পৌঁছেছি, যেখানে আমরা বুঝতে পারছি এবার আমাদের পথ আলাদা হওয়াটাই ভালো। এবার নিজেদের বোঝার পালা।’

জয়ম রবি ও আরতি : জনপ্রিয় তামিল অভিনেতা জয়ম রবি তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে গত ৯ সেপ্টেম্বর জানিয়েছেন যে তিনি তাঁর স্ত্রী আরতির সঙ্গে বিচ্ছেদ করছেন। জয়ম রবি ও তাঁর স্ত্রী আরতির ‌বিয়ে হয় ২০০৯ সালে। তাঁদের দুই ছেলে আরভ ও আয়ান। যদিও আরতি অভিযোগ করেন জয়ম রবি গায়িকা কেনিশার সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন। কিন্তু অভিনেতা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

এষা দেওল ও ভরত তখতানি : ২০১২ সালের জুন মাসে বন্ধু ভরত তখতানির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন ধর্মেন্দ্র ও হেমা মালিনীর কন্যা এষা দেওল। ভরত পেশায় হিরে ব্যবসায়ী। দীর্ঘ ১১ বছর তাঁদের দাম্পত্য। ২০১৭ সালে প্রথম সন্তান রাধ্যার জন্ম দেন এষা এবং ২০১৯ সালে তাঁদের দ্বিতীয় কন্যা মীরার জন্ম। দুই কন্যাকে নিয়ে সুখের সংসার ছিল এষার। কিন্তু এরই মাঝে তাঁদের মাঝে তৃতীয় ব্যক্তির আগমন। এষার স্বামী ভরত নাকি পরকীয়ার সম্পর্কে জড়িয়েছেন, এমনটাই খবর। যৌথ বিবৃতিতে এষা ও ভরত বলেন, ‘‘আমার যৌথসম্মতিতে শান্তিপূর্ণভাবে আলাদা হয়েছি। আমাদের জীবনের এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার মূল কারণ আমাদের দুই সন্তান। এই সময় আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে গোপনীয়তা বজায় থাকবে এটাই আশা করব।’’

উর্মিলা মাতন্ডকর ও মহসিন আখতার : ২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ঘরোয়া অনুষ্ঠানে বিশেষ বিবাহ আইন অনুসারে বিয়ে সেরেছিলেন উর্মিলা ও মহসিন। শুধু মুসলিম পাত্রকে বিয়ে করার জন্য, বয়সের ফারাক নিয়েও কম কটাক্ষ শুনতে হয়নি উর্মিলাকে। দুজনের মধ্যে ১০ বছরের বয়সের ব্যবধান। তবে প্রকাশ্যে সবসময়ই নিজেদের সুখী দম্পতি হিসাবেই তুলে ধরেছেন তাঁরা। কিন্তু ৮ বছরের দাম্পত্যের ইতি। স্বামী মহসিন আখতার মিরের বিরুদ্ধে আদালতে বিচ্ছেদের মামলা করেছেন ঊর্মিলা মাতন্ডকর।

হার্দিক পান্ডিয়া ও নাতাশা স্ট্যানকোভিচ: ২০২০ সালে দুবাইয়ে নতাসাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। পরে ২০২০ সালের ৩১ মে বিয়ে করেন হার্দিক ও নাতাশা। সেই বছরের ৩০ জুলাই এই দম্পতি তাদের ছেলে অগস্ত্যকে স্বাগত জানান। নাতাশা একজন সার্বিয়ান মডেল। তিনি ২০১২ সালে ভারতে আসেন। প্রকাশ ঝা-এর ‘সত্যাগ্রহ’ ছবিতে একটি আইটেম গানে তাঁর ডেবিউ হয়। এরপর তিনি বিগ বস এবং নাচ বলিয়ে-এর মতো রিয়েলিটি শো-এরও অংশ ছিলেন। হার্দিক লিখেছেন, ‘চার বছর একসঙ্গে থাকার পর নাতাশা এবং আমি পারস্পরিক সম্মতিতে আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের মনে হয়, এটাই আমাদের জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত।’

সানিয়া মির্জা ও শোয়েব মালিক: ২০১০ সালে সানিয়া এবং শোয়েবের বিয়ে হয়েছিল। সেই বছরের জানুয়ারি মাসে তাঁদের আলাপ হয়। এপ্রিল মাসে বিয়ে করেন তাঁরা। এই বছর ২০ জানুয়ারি শোয়েব হঠাৎ করে তাঁর এবং সানা জাভেদের বিয়ের খবর সমাজমাধ্যমে জানান। এরপরেই সানিয়ার পরিবার থেকে জানানো …

কাঞ্চন মল্লিক ও পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়: কাঞ্চন-পিঙ্কির দাম্পত্য জীবনে ভাঙন ধরেছিল অনেক আগেই। মনের বিচ্ছেদ মিটেছে অনেক আগেই। তবে কাগজে কলমে তাঁরা স্বামী-স্ত্রী ছিলেন, ২০২৪-এর জানুয়ারি মাসেই ডিভোর্স সম্পন্ন হয় দুজনের। তাঁদের একটি ৯ বছরের পুত্র সন্তান আছে। ঠিক তার পরের মাসেই শ্রীময়ীকে বিয়ে করেন কাঞ্চন মল্লিক। বিয়ের ৯ মাস পর বাবা-মা হন কাঞ্চন ও শ্রীময়ী।

শোলাঙ্ক রায় ও শাক্য বোস: ২০১৮ সালে স্কুলজীবনের বন্ধু শাক্য বোসকে বিয়ে করেছিলেন অভিনেত্রী। শোলাঙ্কি জানিয়েছিলেন, ২০২৩ সালেই বিচ্ছেদ হয়েছে তাঁদের। তবে ডিভোর্সের খবর সামনে আসে চলতি বছর। সম্পর্কে কোনও ‘টক্সিসিটি’ ছিল না কিন্তু ভৌগোলিক দূরত্বই কাল হল শোলাঙ্কির দাম্পত্যে। শাক্য বসুর সঙ্গে শোলাঙ্কির সংসার জীবন সঠিক পথে চলছে না, সেই কানাঘুষো অনেকদিনের। ২০২৪-এর ফেব্রুয়ারি মাসে নায়িকা জানান, তাঁর ডিভোর্স মিটেছে।

জিতু কমল ও নবনীতা দাস: জিতু-নবনীতার বিচ্ছেদের খবর সামনে এসেছিল গত বছর। কিন্তু ডিভোর্স পর্ব মেটেনি। চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে আইনত আলাদা হন জিতু-নবনীতা। ৫ বছরের বিয়ে ভাঙার পর আপতত দুজনেই সিঙ্গল লাইফ চুটিয়ে এনজয় করছেন।