কাটা আঙুল পকেটে ভরে হাসপাতালে ছোট্ট ঈশান!

কলকাতা শহর স্বাস্থ্য

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: যাদবপুরের এক চার বছরের শিশু ঈশানের সাহসিকতার গল্প সকলকে তাক লাগিয়েছে। একটি মাংসের দোকানে খেলতে খেলতে কসাইয়ের ছুরিতে কেটে যায় তার তর্জনী। কিন্তু ভয় পায়নি ঈশান। বরং বাড়ির লোকজনকে তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলে। চিকিৎসকদের দ্রুত ব্যবস্থাপনায় ঈশানের কাটা আঙুল আবার জোড়া লাগানো সম্ভব হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটে যাদবপুরে। ঈশানের বাবা চাকরি করেন এবং মা কাজে ব্যস্ত থাকতেন। বাড়ির পাশেই ছিল একটি মাংসের দোকান। একদিন খেলতে খেলতে ঈশান সেই দোকানে চলে যায়। কসাইয়ের ছুরি তার তর্জনীতে লেগে যায়। কসাইও হতবাক হয়ে যায়। কিন্তু ঈশান ভয় পায়নি। সে বাড়ির লোকজনকে তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলে।

হাসপাতালে পৌঁছে চিকিৎসকরা দ্রুত ব্যবস্থা নেন। পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটের বিভাগীয় প্রধান ডা. সহেলী দাশগুপ্ত জানিয়েছেন, এ ধরনের ঘটনায় সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কাটা অংশটি যত তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নিয়ে আসা যায়, ততই জোড়া লাগানো সহজ হয়। ঈশানের পরিবারের লোকেরা খুব দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছেছিল বলে জটিলতা এড়ানো সম্ভব হয়েছে।

প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের ডা. অখিলেশ আগরওয়াল এবং ডা. সহেলী দাশগুপ্তের যৌথ প্রচেষ্টায় ঈশানের আঙুল জোড়া লাগানো হয়। তবে প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় এবং ক্ষতিগ্রস্ত রক্তনালী মেরামত করতে হওয়ায় চিকিৎসকদের অনেক চেষ্টা করতে হয়। শিশুটিকে দশ দিন ধরে কড়া পর্যবেক্ষণে রাখতে হয়।

ডা. সহেলী দাশগুপ্ত জানিয়েছেন, এ ধরনের ঘটনায় ধৈর্য্য সবচেয়ে বড় অস্ত্র। ভয় পেয়ে গেলে অনেক সময় ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলা হয়। তাই এ ধরনের পরিস্থিতিতে শান্ত থাকা এবং দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিৎ।