ঘুরতে গিয়ে ফিরতে হল কফিনবন্দি হয়ে!

কলকাতা জেলা রাজ্য

নিজস্ব প্রতিনিধি, উত্তর ২৪ পরগণা: আর হল না ইচ্ছেপূরণ! উত্তর সিকিমে বেড়াতে গিয়ে খাদে পড়ে মারা গেলেন নিউ ব্যারাকপুরের শোভন শাসমলের স্ত্রী ও আড়াই বছরের মেয়ে। ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার রাতেই কফিনবন্দি হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

পেশায় গৃহশিক্ষক শোভন স্ত্রী এবং মেয়েকে নিয়ে গত ২৩ ডিসেম্বর সিকিম বেড়াতে গিয়েছিলেন। সঙ্গে ছিলেন শোভনের মামাতো ভাইয়ের পরিবারও। ছয় জন মিলে শনিবার গাড়িতে করে জুলুকে বেড়াতে গিয়েছিলেন। গাড়ির পেছনের দিকে ছিলেন শোভন ও তাঁর পরিবার। জুলুক দেখে রোলেপ যাওয়ার রাস্তায় লামাটেনের কাছে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। গাড়িটি খাদে পড়ে যায়। শ্রীনিকা মায়ের কোলে শুয়ে ছিল। পায়েল খাদে পড়ে গেলে একরত্তিকে বাঁচাতে গিয়ে মেয়েকে কোল থেকে ফেলে দেয়। শ্রীনিকা খাদে পড়লেও গভীরে পড়েনি। কিন্তু পায়েল অনেকটা গভীর খাদে পরে যায়। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। উদ্ধারের পরেও প্রাণে বেঁচেছিল শ্রীনিকা। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় তার। শোভন গুরুতর জখম হয়েছেন। শোভনের মামাতো ভাই ও তাঁর স্ত্রীও আহত হয়েছেন। তাঁদের বাচ্চাকে গাড়িটি খাদে পড়ার মুহূর্তে জানালা দিয়ে ছুড়ে ফেলায় প্রাণে বেঁচে যায়।

অন্যদিকে, রবিবার বিকেলে পিয়ালী ও শ্রীনিকার মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। সন্ধ্যায় মরদেহ বাড়িতে আসে। আহত শোভন এখনও ফেরেননি। তাই স্ত্রী ও মেয়ের শেষকৃত্য এখনও সম্পন্ন হয়নি। তাঁদের মৃতদেহ নিউ ব্যারাকপুরের পিস হেভেনে রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার অ্যাম্বুলেন্সে শোভন–সহ বাকি আহতরা ফিরবেন নিউ ব্যারাকপুরে।

পারিবারিক সূত্রে খবর, শোভন শেষবারের জন্য স্ত্রী ও মেয়ের মুখটা দেখতে চেয়েছেন। শোভনের বন্ধু বিকাশ সিনহা বলেন, ‘ওর স্ত্রীর মুখটা যে ক্ষতবিক্ষত হয়ে গিয়েছে। কী ভাবে সেই মুখ দেখবে। সেটা আর বলতে পারিনি ওকে।’