নিজস্ব প্রতিনিধি, ডায়মন্ডহারবার: ‘আরজি কর কাণ্ড নিয়ে যেসব শিল্পীরা মুখ্যমন্ত্রীকে কুৎসিতভাবে আক্রমণ করেছেন তাঁদের বয়কট করার ডাক দিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। গত সোমবার তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষের এই বক্তব্য সব সংবাদ মাধ্যমেই প্রচারিত হয়। আজ বৃহস্পতিবারব সেই বক্তব্যের পাশে দাঁড়ালেন না দলের সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়!
তিনি পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে বলেন, ‘এক্স হ্যান্ডেলে ব্যক্তিগতভাবে তিনি বলতে পারেন। পার্টির তরফে কেউ কী নির্দেশ দিয়েছেন?’ আর অভিষেকের এই বক্তব্যকে ঘিরেই তুমুল জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এই বিষয়ে এদিন অভিষেক বলেন, ‘যেমন একজনের রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করার স্বাধীনতা আছে, তেমনি কেউ যদি একটা অনুষ্ঠানে কাউকে আনতে চায় তাতেও তাঁর সে স্বাধীনতাও রয়েছে। এটাকে একদম সেই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখাই উচিৎ। অন্যথা করা একদমই ঠিক নয়। পার্টির তরফ থেকে তো কেউ নির্দেশ দেননি। ট্যুইটে ব্যক্তিগতভাবে তিনি বলতে পারেন। পার্টির তরফে কেউ নির্দেশ দিয়েছেন? আপনি কোথাও কোনও বিজ্ঞপ্তি দেখেছেন? কোনও নোটিফিকেশন দেখেছেন? এমনকি যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওয়ার্কিং কমিটির মিটিং ডেকেছিলেন, তখন এই বিষয় নিয়ে কোনও আলোচনা হয়েছিল বলে আপনারা শুনেছেন? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছু বলেছেন? দলের তরফ থেকে আমি পার্টির জেনারেল সেক্রেটারি কিছু বলেছি? না। আমরা সবার স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। আমি তো বলেছিলাম, ১৪ আগস্ট যাঁরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলেন, রাত দখলের ডাক দিয়েছিলেন, কেউ সমর্থন করুন আর না করুক, আমি তাঁদের সাধুবাদ জানিয়েছিলাম। আমি আজও একই কথাই বলছি। কারুর ভালো লাগতে পারে। কারোর খারাপ লাগতে পারে। এটাই বাংলার সঙ্গে উত্তরপ্রদেশের পার্থক্য।’
উল্লেখ্য, গত ৩০ ডিসেম্বর এই বিষয় নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘আরজি কর কাণ্ডে যে যে শিল্পী, যে যে তারকা কুৎসিতভাবে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেছেন… সরকারকে আক্রমণ করেছেন, তাঁদের বয়কট করুন।’