নিজস্ব প্রতিনিধি, রায়গঞ্জ: উনিশ দিন নিখোঁজ থাকার পর রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হল করণদিঘির নিখোঁজ যুবতীর মৃতদেহ। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া এলাকায়। বুধবার রাতে চোপড়া থানার অন্তর্গত একটি কালভার্টের নিচ থেকে যুবতীর রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় এরইমধ্যে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে করণদিঘি থানার পুলিশ।
করণদিঘির বাসিন্দা রাব্বানি শেখের বছর কুড়ির কন্যা গত ১২ ডিসেম্বর স্থানীয় বাজারে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখান থেকে তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। পরিবারের অভিযোগ, এলাকারই এক যুবক তাঁকে অপহরণ করে। পরবর্তীতে বহু খোঁজাখুঁজি করেও যুবতীর কোনো সন্ধান না মেলায়, পরিবারের পক্ষ থেকে ১৫ ডিসেম্বর করণদিঘি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়।
নিখোঁজ হওয়ার কয়েকদিন পর, সুযোগ পেয়ে যুবতী নিজেই পরিবারের কাছে অভিযুক্ত যুবকের ছবি পাঠিয়ে দেন। সেই ছবি পুলিশকে দেওয়া হলে তদন্তে গতি আসে। পুলিশ অভিযুক্তের খোঁজ শুরু করে এবং ২৯ ডিসেম্বর গোয়ালপোখরের বাসিন্দা অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। অভিযুক্তকে তিনদিনের পুলিশি হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে যুবতীর অবস্থান সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়।
মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানেই পরিবারের সদস্যরা মৃতদেহ সনাক্ত করেন। পরিবারের দাবি, তাঁদের মেয়েকে ধর্ষণ করে নির্মমভাবে খুন করা হয়েছে। মৃতার কাকা বলেছেন, ‘মেয়েটা অপরাধীর হাতে চলে গিয়েছিল। ও সাহস করে লুকিয়ে আমাদের কাছে অভিযুক্তের ছবি পাঠিয়েছিল। সেটা জানতে পেরেই অভিযুক্ত আমাদের মেয়েকে মেরে ফেলেছে।’ ধৃত অভিযুক্তকে বৃহস্পতিবার ইসলামপুর আদালতে তোলা হলে ছ’দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ এই ঘটনার সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছে এবং প্রমাণ সংগ্রহের চেষ্টা চালাচ্ছে।