‘শিল্পের সমাধানে’

জেলা রাজ্য

নিজস্ব প্রতিনিধি, হুগলি: শিল্পের প্রসার ঘটাতে বিশেষ উদ্যোগ নিলেন রাজ্য সরকার। শিল্পদ্যোগীদের কাছে পৌঁছতে রাজ্যের উদ্যোগ শিল্পের সমাধানে ‘সিনার্জিও’। এবার এই শিল্পের সমাধানে ক্যাম্পে ৬ লাখ আবেদন জমা পড়েছে। ৩০ জানুয়ারির মধ্যে সেই আবেদন খতিয়ে দেখে সমাধান করা হবে। এদিন হুগলির চুঁচুড়া রবীন্দ্র ভবনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে এসে বললেন ক্ষু্দ্র ছোটো ও মাঝারি শিল্প দফতরের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা।

ক্ষুদ্র ছোটো ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগীদের নিয়ে আজ হুগলির চুঁচুড়া রবীন্দ্র ভবনে এই অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা,বেচারাম মান্না, দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি রাজেশ পান্ডে,হুগলি জেলাশাসক মুক্তা আর্য,সভাধিপতি রঞ্জন ধারা সহ জেলা আধিকারিক ও জন প্রতিনিধিরা।

এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দফতরের সমন্বয়ের মাধ্যমে শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেন বেচারাম মান্না। জেলার শিল্পোদ্যোগীদের শিল্প পরিকাঠামো গড়ে তুলতে যে কোনো প্রয়োজনে সরকারি সহযোগিতা পাবেন বলে জানান মন্ত্রী।

দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি রাজেশ পান্ডে বলেন,একটা শিল্প গড়ে তুলতে যে যে দফতরের সহযোগিতা লাগে,সেটা বিদ্যুৎ হোক ফায়ার হোক পলিউশন হোক ল্যান্ড হোক সব দফতরের সমন্বয় করা। গত এক বছরে অনেক নতুন সিস্টেম চালু করা হয়েছে আমাদের দফতর থেকে। আমরা গত দশ এগারো বছর ধরে চেষ্টা করছি শিল্প দফতরের পক্ষ থেকে যা যা নতুন স্কিম নেওয়া হয়েছে সেগুলো জানাতে।

অনুষ্ঠানের শেষে প্রশ্নোত্তর পর্বে শিল্পোদ্যোগীরা তাদের নানা অভাব অভিযোগের কথা বলেন। কেউ বলেন,স্কুলের পোশাক তৈরী করেন তারা ক্লাস্টারে কাজ পাচ্ছেন না। এখানে বিদ্যুৎ খরচ অনেক বেশি প্রতি ইউনিট ৮ টাকা ৬ পয়সা। শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে বিদ্যুৎ খরচ কমাতে হবে। সিঙ্গুর জুয়েলারী ক্লাস্টারে বহু লোক কাজ করেন। কোনো সাহায্য পায়নি। সবাই পরিযায়ী শ্রমিক। তারা জুয়েলারীর কাজ করেন। একটা জমি চাই হাব তৈরীর জন্য।

হুগলি মোটরসের কর্নধার শেখ নাসিরুদ্দিন বলেন,ইভি হাব করার জন্য সরকারি জমি দিলে সুবিধা হয়। পাশাপাশি দূষন নিয়ন্ত্রণের শংসাপত্র পেতে হলদিয়ার একটি নির্দিষ্ট সংস্থার উপর নির্ভর করতে হয়। তাতে খরচও বেশি। জমি রেজিস্ট্রেশন করতে গিয়েও সমস্যার কথা তুলে ধরেন।