অভিনব চুরি, সঙ্গে খাওয়া ফ্রী

জেলা রাজ্য

নিজস্ব প্রতিনিধি,বর্ধমান:– একেই বলে ‘রথ দেখা আর কলা বেচা’। রথের মেলায় গিয়ে কলা বিক্রী করাটাই ছিল আপনার মূল উদ্দেশ্য,পড়ে পাওয়া চৌদ্দো আনার মতো উপরি পাওনা হলো রথ দেখাটাও। এই দুটি কাজ একসঙ্গে করার কারণেই এই প্রবাদটির প্রছলন আজও একইরকম ভাবে চলে আসছে। কিন্তু এই প্রবাদটাই কার্যকরি হয়েছে এক চুরির ঘটনায়।
চুরির ঘটনা প্রায় প্রত্যেকদিনই আমাদের নজরে আসে। কিন্তু এই চুরি সে চুরি নয়। এই চুরিতে রয়েছে অন্য আরেক ট্যুইস্ট। আর এই অদ্ভুত ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার গভীর রাতে বর্ধমান শহরের বড়নীলপুর উত্তরপাড়া এলাকায়। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ি ফিরে পেশায় রেল কর্মী মৃত্যুঞ্জয় দাস তালা ভাঙা অবস্থায় নিজের বাড়িটিকে দেখতে পান। ভিতরে ঢুকে তিনি দেখেন আলমারি ভাঙা এবং সবকিছু লণ্ডভণ্ড অবস্থায় পড়ে আছে। প্রায় ৫০ হাজার টাকা নগদ, ১০ ভরি সোনার গয়না এবং তাঁর স্ত্রীর বাইকটি চুরি হয়েছে। চোরেরা চুরি তো করতে এলো, সবকিছু লুটপাটও করল আর তারপরেই চোখ পড়ল রান্নাঘরে রাখা খাবারের সামগ্রীর ওপর, যা দেখে আর লোভ সামলাতে পারল না তাঁরা। রান্নাঘরে গিয়ে গুছিয়ে রান্না করে জমিয়ে খাওয়াদাওয়া করল চোরেরা।
আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য হল, চোরেরা রান্নাঘরে ঢুকে ফ্রিজ থেকে দশটি ডিম বের করে রান্না করে খেয়েছে। গ্যাসের ওভেনে কড়াই চাপানো অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। এর থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় যে চোরেরা বাড়িতে বেশ কিছু সময় কাটিয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে মৃত্যুঞ্জয়বাবু বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অবাক করা বিষয় হল, থানায় গিয়ে তিনি দেখেন তাঁর চুরি হওয়া বাইকটি থানাতেই রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, রাতেই তাঁরা বাইকটি উদ্ধার করেছে। মৃত্যুঞ্জয়বাবু জানিয়েছেন, বুধবার দুপুরে তিনি সপরিবারে শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে ডিউটিতে চলে যাওয়ার পর দুপুরে ফিরে দেখেন এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। চোরদের ধরতে পুলিশ বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছে। তবে এ হেন চুরির ঘটনা রীতিমতো তাজ্জব করে তুলেছে সকলকে। কালের বিবর্তনে আরও কত কি যে দেখতে হবে সকলকে তা কেউই জানে না।