শপথের আগেই নাকি জেল!

breakingnews আন্তর্জাতিক

নিউজপোল ব্যুরো: দ্বিতীয়বার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২০ জানুয়ারি তাঁর শপথ গ্রহণ। কিন্তু এ কি রটনা চারিদিকে! তার আগেই রয়েছে নাকি জেল বন্দি হওয়ার সম্ভাবনা। শোনা যাচ্ছে তার আগেই পর্নস্টার স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেওয়ার ঘটনায় সাজা ঘোষণা হবে তাঁর। দায়ভার গ্রহণের আগেই বিপদে পড়তে চলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প এমনই আভাস পাওয়া যাচ্ছে গোপন সূত্র অনুযায়ী। আগামী ১০ জানুয়ারি তাঁকে ঘুষ কাণ্ডে সাজা শোনাবে নিউ ইয়র্কের আদালত।

তাহলে কি প্রেসিডেন্টের গদিতে বসার আগেই জেলে যেতে পারেন ট্রাম্প? কি বলছে গোপন সূত্র?
২০০৬ সালে ট্রাম্পের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক হয়েছিল বলে দাবি করেন স্টর্মি। ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন তিনি। বিষয়টা চেপে দিতে ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে তাঁকে এক চুক্তিতে সই করানো হয়েছিল বলে দাবিও করেছেন স্টর্মি। এমনকী প্রচুর অর্থও দেওয়া হয় বিনিময়ে। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে স্টর্মি যা অভিযোগ করেছেন, তা বার বারই খণ্ডন করেছেন ট্রাম্প। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি, প্রমাণের ভিত্তিতে অবশেষে আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন তিনি।

২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে পর্নস্টার স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল রিপাবলিকান নেতা ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। গত বছরের মে মাসে প্রথম প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে নিউ ইয়র্কের আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন তিনি। তবে ভোটে লড়ার ক্ষেত্রে তেমন কোনও বাধার সম্মুখীন হতে হয়নি তাঁকে। কারণ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য সাজা ঘোষণা স্থগিত রেখেছিল আদালত। এরপরই আলাদাই রেকর্ড ভোটে জয়লাভ করে গোটা বিশ্বের কাছে প্রশংসা কোরান তিনি।
নির্বাচন জেতার পরই এই মামলার শাস্তি থেকে অব্যহতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই আর্জি খারিজ করে আদালতের তরফে জানানো হয়, রাষ্ট্রপতি পদে বসলেও রক্ষাকবচের কোনও প্রশ্নই নেই।
জানা গিয়েছে, গতকাল শুক্রবার আগের এই নির্দেশই বহাল রাখে নিউ ইয়র্কের আদালত। মামলা প্রত্যাহার নিয়ে ট্রাম্পের আইনজীবীদের সব যুক্তি খারিজ করে।
১৮ পাতার নির্দেশনামা জমা পরে এদিন। এ বিষয়ে বিচারক জুয়ান মার্চেন সাফ জানিয়ে দেন, এই মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে না ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। আগামী ১০ জানুয়ারি তাঁর সাজা ঘোষণা করা হবে। শুনানির জন্য তাঁকে সশরীরে কিংবা ভারচুয়ালি আদালতে উপস্থিত থাকতে হবে। এখন প্রশ্ন একটাই তবে কি জেল বন্দির আশঙ্কা?
না, এখনই নয় এই বার্তাও দেওয়া হয় স্পষ্ট।
আপাতত হবু মার্কিন প্রেসিডেন্টকে কারাদণ্ড দেওয়া না হবে না বলেই খবর। কিন্তু দোষী সাব্যস্ত অপরাধীর তকমা মাথায় নিয়েই শপথ নেওয়ার পর হোয়াইট হাউসে ঢুকতে হবে ট্রাম্পকে। যদিওবা বিচারকের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রবল অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।