কুপিয়ে খুন সহপাঠীকে

অপরাধ দেশ

নিউজ পোল ব্যুরো: স্কুলে ক্লাস চলাকালীন ঝামেলা হয়েছিল, আর তার জেরেই সহপাঠীকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠলো এক কিশোরের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার বিকেলে দিল্লির শঙ্করপুরে। ওই এলাকার একটি স্কুলে ক্লাস চলাকালীন দুই ছাত্রের মধ্যে ঝামেলা বাঁধে। এর সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় চলে দুই ছাত্রের মধ্যে। ছুটির পর তার আরও বন্ধুদের নিয়ে ওই কিশোরের ওপর হামলা করে। তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়। এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে ৫ জনই নাবালক।

শঙ্করপুরের রাজকীয় সর্বোদয় বাল বিদ্যালয়ের সামনে শুক্রবার বিকেলে স্কুল ছুটির পর খুন হয় ওই স্কুলের ছাত্র ১৪ বছরের নাবালক ইসু গুপ্ত। অভিযোগ, ওই স্কুলের এক ছাত্র কৃষ্ণের সঙ্গে ক্লাসে ঝামেলার পর কৃষ্ণ কয়েকজন বন্ধুর সহায়তায় তার সহপাঠীকে কুপিয়ে খুন করে। ঝামেলার জন্যই এই হত্যা বলে প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে।

পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার দিল্লির ওই স্কুলে অতিরিক্ত সময় ধরে ক্লাস চলছিল। ইশু ও কৃষ্ণ দু’জনেই সেই ক্লাসে উপস্থিত ছিল। কোনও বিষয়কে কেন্দ্র করে ক্লাসের মধ্যেই তাদের ঝামেলা হয়। পরস্পরের মধ্যে কথা কাটাকাটিও হয়। এরপর ক্লাসের মধ্যে কিছু ক্ষণে বিষয়টি মিটে গিয়েছিল। কিন্তু কৃষ্ণ রাগ পুষে রেখেছিল। স্কুল ছুটি হওয়ার পর সে তার কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে চড়াও হয় বন্ধুর উপর। ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রথমে ইশুর পায়ে কোপ মারে। তার পর শরীরের একাধিক অংশে কোপ মারা হয়। স্কুল কর্তৃপক্ষ প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে জানিয়ে দে ।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। মূল অভিযুক্তসহ মোট ৭ জনকে স্কুল চত্বর থেকেই পুলিশ আটক করে। তাদের মধ্যে ৫ জন নাবালক। পুলিশ জানিয়েছে, বাকি দুই ধৃতের মধ্যে এক জনের বয়স ১৯ এবং অন্য জনের বয়স ৩১ বছর। অভিযুক্তের সঙ্গে তাঁদের কী সম্পর্ক, খুনের সময়ে তাঁদের ভূমিকা কী ছিল, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। মৃতের দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।