নিজস্ব প্রতিনিধি, হুগলি : ‘রেল চলুক দিঘি বাঁচুক’। ৫২ বিঘার জলাশয় ভাবাদিঘি, যাকে ঘিরে এই ভাবাদিঘি গ্রাম। সেই পুরো গ্রামে ২৬৮টি পরিবারের বাস। যাঁরা সবাই তফশিলি সম্প্রদায়ের। ওই ৫২ বিঘার জলাশয় ভাবাদিঘিকে কেন্দ্র করেই তাঁদের গ্রামের জীবিকা। ভাবা দিঘি বাঁচিয়ে রেলপথ চালু করতে হবে। এই দাবিতে গণকনভেশন হল হুগলির চুঁচুড়ার কামারপাড়ায়।
গ্রামবাসীদের দাবি, দিঘিকে ঘিরে সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় যাপনও চলে। রেলের সিদ্ধান্তে তা ধ্বংস করা যাবে না। জমির বদলে এই ভাবা দিঘির ওপর দিয়ে তারকেশ্বর কামারপুকুর রেললাইন তৈরি হলে গোটা অঞ্চল বিপন্ন হবে।
ভাবাদিঘি বাঁচাও কমিটির সম্পাদক সুকুমার রায় বলেন, ‘রেল চলুক, দিঘি বাঁচুক। তবে প্রথমে রেলপথ সোজাসুজি দিঘির উত্তর প্রান্ত দিয়ে নিয়ে যাওয়ার নকশা করা হলেও পরবর্তী সময়ে ওই নকশা বদল করে ঘুরপথে দিঘির ওপর দিয়ে রেলপথ নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। আর তাতেই আপত্তি রয়েছে। সোজাপথে জমির ওপর দিয়ে রেলপথ করা হলে অনেক সুরক্ষিত হবে রেলপথ। আবার জীবন জীবিকা, পরিবেশ রক্ষাও হবে।’
তাঁরা চান দিঘি বাঁচানোর দাবির পাশাপাশি রাজ্য সরকার যথাযথ উদ্যোগ নিক ও এই রেলপথ নির্মাণ ত্বরান্বিত করুক। রেলও চলবে দিঘিও বাঁচবে। অন্যথায় সাধারণ মানুষ পরিবেশ জীবন জীবিকা রক্ষার তাগিদে বাধ্য হবেন বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলতে।
কনভেনশনে ভাবাদিঘি বাঁচাও সহযোগী মঞ্চের পক্ষে গৌতম সরকার বলেন, ‘পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজারের কাছে ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছে। ভাবাদিঘিতে গণশুনানির আয়োজন করা হবে, যেখানে গ্রামের মানুষ মতামত দেবেন।’