বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার জাল সার্টিফিকেট দিয়ে টাকা তোলার অভিযোগ, বিস্মিত আদালত

অপরাধ আইন কলকাতা রাজ্য

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার জাল সার্টিফিকেট দিয়ে টাকা তোলার অভিযোগ। এক সদস্যের কমিটির থেকে টাকা ফেরত। বিস্ময় কলকাতা হাই কোর্ট। আবেদনকারীর আইনজীবীর দাবি, ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে কমিটিতে কর্মরত কর্মীরা। এর জেরে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর নির্দেশ হেয়ার স্ট্রিট থানার তদন্তকারী অফিসারকে সঠিক তদন্ত করতে হবে। তদন্তে কমিটির কোনও কর্মী যুক্ত থাকলে তাঁদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। আদালত চায় প্রকৃত আমানতকারীরা টাকা ফেরত পাক।

আবেদনকারী সন্দীপন দত্ত ও তাঁর পুত্র এমপি এসের ৭১টি সার্টিফিকেট জমা দিয়ে প্রায় ৭ লক্ষ টাকা এক সদস্যের কমিটির কাছ থেকে ফেরত পান। টাকা ফেরত পাওয়ার পর অন্য আবেদনকারীরা একই সার্টিফিকেটের প্রেক্ষিতে টাকা দাবি করেন। হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে অন্যের সার্টিফিকেট জাল করে আবেদনকারীরা টাকা তুলে নিয়েছে। অভিযোগ দায়ের পর আবেদনকারীরা ৭ লক্ষ টাকা ফেরতও দেয়।

এরই মধ্যে সন্দীপনের পুত্র আত্মহত্যার চেষ্টা করে। বর্তমানে সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশি তদন্তে উঠে আসে আরও ১৫৯টি সার্টিফিকেট জাল করে টাকা তোলার জন্য জমা দিয়েছে আবেদনকারীরা। অপরদিকে, গ্রেফতারি এড়াতে কলকাতা হাই কোর্টে আগাম জামিনের আবেদন জানায় সন্দীপন দত্ত ও তাঁর পুত্র। আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ।

আবেদনকারীর আইনজীবী, শাশ্বত গোপাল মুখোপাধ্যায় বলেন, নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। সার্টিফিকেট পাওয়ার পর এক সদস্যের কমিটি কেন খতিয়ে দেখে টাকা দিল না। তাহলে কি কমিটির কর্মীরা যুক্ত?

বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী বলেন, বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। কমিটির কর্মীরা কেউ যুক্ত আছেন কি না তদন্তকারী অফিসারকে তা খতিয়ে দেখতে হবে। আশাকরি কমিটির চেয়ারম্যান বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখবেন। তবে সার্টিফিকেট জাল করে টাকা তোলার অভিযোগের প্রেক্ষিতে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন আছে।

প্রসঙ্গত, বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার আমানতকারীদের অর্থ ফেরতের জন্য কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে এক সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। বর্তমানে ওই কমিটির চেয়াম্যান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সুব্রত তালুকদার।