নিউজ পোল ব্যুরো: ছত্তিশগড়ের বিজাপুরের সাংবাদিক মুকেশ চন্দ্রকার খুনের ‘মূল অভিযুক্তকে’ গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ৫ জানুয়ারি রবিবার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সাংবাদিক মুকেশ চন্দ্রকারের মৃতদেহ দুই দিন নিখোঁজ থাকার পর ৩ জানুয়ারি ছত্তিশগড়ের বস্তারে এক ঠিকাদারের বাড়িতে একটি সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার করা হয়। যে ঠিকাদারের বাড়ি থেকে মুকেশের দেহ উদ্ধার হয়, সেই ঠিকাদারকেই রবিবার সন্ধ্যায় হায়দ্রাবাদ পুলিশ গ্রেফতার করেছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, সে গাড়ি চালকের বাড়িতে লুকিয়ে ছিল। ঘটনা ঘিরে শোরগোল গোটা দেশে।
জানা গিয়েছে, ছত্তিশগড়ের বিজাপুরের এক স্থানীয় চ্যানেলে কর্মরত ছিলেন সাংবাদিক মুকেশ চন্দ্রকার। পাশাপাশি তাঁর একটি ইউটিউব চ্যানেলও ছিল ‘বস্তার জংশন’ নামে। জনপ্রিয় ওই চ্যানেলের গ্রাহকের সংখ্যা ছিল দেড় লক্ষেরও বেশি। কয়েকদিন আগে বস্তারের ১২০ কোটি টাকার রাস্তা তৈরির প্রকল্পের দুর্নীতির পর্দা ফাঁস করেছিলেন ওই সাংবাদিক। দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছিল ঠিকাদার সুরেশ চন্দ্রশেখরের। আর সেই ঠিকাদারের বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হল মুকেশের দেহ।
পুলিশ সূত্রে খবর, মুকেশকে খুনের ঘটনায় ‘মূল অভিযুক্ত’ সুরেশই। প্রায় ২০০ টি সিসিটিভি ফুটেজ দেখে এবং ৩০০ টি মোবাইল নম্বর ট্রাক করে তাঁর খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। গ্রেফতারের পর সুরেশকে টানা জেরা করছে বিজাপুর পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল। সুরেশের স্ত্রীকেও গ্রেফতার করেছে ছত্তিশগড়ের কাঁকের জেলা পুলিশ। তাঁকেও জেরা করছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী মুকেশের দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। যে জায়গা থেকে সাংবাদিকের দেহ উদ্ধার হয়েছে সেখানে ঠিকাদারের কর্মীরা থাকেন তাঁদেরকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে এর আগে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন মুকেশের এক ভাই রীতেশ চন্দ্রকার ও দীনেশ চন্দ্রকার। এবার ঠিকাদার সুরেশ সহ মোট পাঁচ জনকে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হল।