নিজস্ব প্রতিনিধি,কলকাতা: সোমবার কলকাতায় সাড়ে পাঁচ মাসের এক শিশুর শরীরে খোঁজ মিলল এইচএমপিভির। এর পরেই নড়েচড়ে বসল রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। সোমবার রাজ্যের মুখ্য স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমের নেতৃত্বে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয় স্বাস্থ্য ভবনে। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা, জনস্বাস্থ্য অধিকর্তা সহ স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিকরা।
বৈঠকে রাজ্যের পাঁচটি মেডিক্যাল কলেজ সহ ডায়মন্ড হারবার হাসপাতাল, এম আর বাঙ্গুর হাসপাতাল এবং বিধানচন্দ্র রায় শিশু হাসপাতালের অধিকর্তাদের বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। সেই নির্দেশে অবিলম্বে স্পেশাল ফিভার ক্লিনিক খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি ৫ বছর পর্যন্ত বাচ্চাদের বিশেষ নজরদারির কথাও বলা হয়েছে।তিনদিনের বেশী জ্বর হলে ফিভার ক্লিনিক বা হাসপাতালে সেই শিশুদের চিকিৎসার কথা বলা হয়েছে। মাস্ক ব্যবহারের ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে। তাঁদের পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে, জ্বর তিনদিনের বেশী হলে অ্যান্টিবায়োটিক চালু করার কথা হয়েছে স্বাস্থ্য দদফতরের তরফে।
এই ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, তাই ভাইরাস আক্রান্ত শিশুকে পৃথকীকরণ করার ওপরেও জোর দেওয়া হয়েছে। কেউ আক্রান্ত হলে তার থেকে ৭ জনের দেহে ছড়াতে পারে এই নতুন ভাইরাস। এক্ষেত্রে এই ধরনের রোগীর পোশাক পরিচ্ছদ বারবার পাল্টানোর কথা বলা হয়েছে। যথেষ্ট পরিমানে আলো বাতাস যাতে ঢোকে ঘরে সেই ব্যবস্থা রাখতে হবে।
এদিন অর্থাৎ সোমবার কলকাতার লাগোয়া দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া ও হুগলি জেলার স্বাস্থ্য অধিকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়ছে তাঁদের জেলার হাসপাতালগুলোতে স্পেশাল ফিভার ক্লিনিক চালু করার জন্য।
কলকাতা পুরসভার তরফে মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান, ‘কলকাতায় এখনও পর্যন্ত সংক্রমণের সেরকম খবর নেই। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে যেমন নির্দেশ দেওয়া হবে সেইরকম চলবে কলকাতা পুরসভা। সর্বদা সতর্ক রয়েছেন পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা। পরবর্তী পরিস্থিতি দেখে তবেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কলকাতাবাসী সহ অন্যান্য জেলাকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।’