নিজস্ব প্রতিনিধি, হুগলি: ফের চন্দননগরের ব্যস্ত রাস্তায় মাঝে ধস। আতঙ্কিত এলাকার মানুষ। আশেপাশের বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশঙ্কা। কাজ ধীর গতিতে হচ্ছে বলে দাবি স্থানীয়দের।
জানা গিয়েছে, জগদ্ধাত্রী পুজোর সময় হাটখোলা রোড অর্থাৎ যে রাস্তা দিয়ে জগদ্ধাত্রীর শোভাযাত্রা যায় সেই রাস্তায় বড়সড় ধস নেমেছিল। সেই সময় তড়িঘড়ি শোভাযাত্রার জন্য রাস্তায় সারাই করে কেএমডিএ এবং চন্দননগর পুরনিগম। সেই রাস্তায় আবারও ধস নেমেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এই জায়গার ধস নামার সমস্যা দীর্ঘদিনের। পুরনিগম মাঝেমধ্যে কাজ করলেও কোন স্থায়ী সমাধান করছেন না। পুজোর সময় অস্থায়ীভাবে রাস্তা সারাই করে। তারপর সেই রাস্তা দিয়ে একাধিক স্কুলের গাড়ি যাতায়াত করে। জিটি রোডের পাশাপাশি এটাও মেন রোড হিসাবে ব্যবহার হয়। যে কোন মুহুর্তে দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ স্থানীয়দের।
ধসের জায়গার পাশে একাধিক আবাসন, বহুতল বাড়ি রয়েছে,যা ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। কারণ শোভযাত্রার সময় রাস্তা সারাইয়ের জন্য শুধু বালি ও ইট ব্যবহার হয়েছিল। সেই বালি আবারো সরে গিয়ে ভিতরে ফেঁপে গেছে,যার ফলে নীচ থেকে জল বের হচ্ছে। সেই ধস দিনদিন বেড়ে চলেছে।কেএমডিএ-র কর্মিরা কাজ শুরু করলেও তা খুব ধীর গতিতে হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
আজ সোমবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেন চন্দননগর পুরনিগমের মেয়র রাম চক্রবর্তী। তিনি বলেন, পুজোর সময় আমাদের ইঞ্জিনিয়াররা কাজ করেছিলেন। তবে এখন আবার কোথা থেকে এই জলের সোর্স আসছে তা দেখতে হবে। কারণ চন্দননগরে ফরাসি আমলের সুয়ারেজ লাইন আছে,জলের পাইপ লাইন আছে,গ্যাসের লাইন আছে,ইলেক্ট্রিক লাইন আছে। ফলে প্রত্যেকটা দফতরকে নিয়ে কাজ করতে হবে। কাজ ধীর গতিতে হবে,কারন আমরা চাই এটার স্থায়ী সমাধান হোক। আপাতত ওই রাস্তা দিয়ে ভারী যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।