যে কোনও পেশার বিশিষ্ট ব্যক্তিই হতে পারবেন উপাচার্য

আইন কলকাতা দেশ রাজনীতি রাজ্য শিক্ষা

নিউজ পোল ব্যুরোঃ- উপাচার্য হওয়ার যোগ্যতা মানে বড়সড় পরিবর্তন আনতে চলেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। নয়া বিধিতে বলা হয়েছে, সমাজের যে কোনও পেশার বিশিষ্ট ব্যক্তিই হতে পারবেন উপাচার্য। একই সঙ্গে নয়া বিধি অনুযায়ী, উপাচার্য নিয়োগে ক্ষমতাও বাড়ানো হচ্ছে আচার্যদের। নতুন বিধি অনুসারে, সার্চ কমিটির তৈরী প্যানেল থেকে একজনকে বেছে নিতে পারবেন আচার্যরা। মানে অন্য কোনও পক্ষের মতামত দেওয়ার সুযোগ থাকবে না। এছাড়া, অধ্যাপক, চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগের নিয়মেও গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনতে চলেছে ইউজিসি। সেই সংক্রান্ত খসড়াও প্রকাশ করা হয়েছে। সাধারণভাবে রাজ্যপালই রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্যের ভূমিকা পালন করে থাকেন। এই আবহে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তারের আশায়, রাজ্যপালের পরিবর্তে মুখ্যমন্ত্রীকে উপাচার্য করার বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় বিলও পেশ করেছে শাসক দল। যদিও রাজ্যপাল বিলটিতে সম্মতি না দেওয়ায় সেটি কার্যকর করা যায়নি। এরই মধ্যে কেন্দ্রের এই নয় খসড়া বিধি সামনে এল। সমাজের নানা পেশার গুণিজনদের উপাচার্য করার প্রস্তাবটি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ামক সংস্থা জানিয়েছে, এরফলে উচ্চশিক্ষার সঙ্গে সমাজের সব অংশের সম্পৃক্ততা বাড়বে। নতুন নতুন ধারণায় সমৃদ্ধ হবে উচ্চশিক্ষা।

নিউজ পোল ব্যুরো: শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বড়সড় বদল আনতে চলেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (UGC)। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দিতে আর ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি টেস্ট (NET) উত্তীর্ণ হওয়া বাধ্যতামূলক থাকবে না। সোমবার কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান এই সংক্রান্ত একটি খসড়া বিধি প্রকাশ করেন। নতুন নিয়মে শিক্ষক-উপাচার্য নিয়োগে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনার কথা বলা হয়েছে। উপাচার্য হওয়ার যোগ্যতা মানে বড়সড় পরিবর্তন আনতে চলেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। নয়া বিধিতে বলা হয়েছে, সমাজের যে কোনও পেশার বিশিষ্ট ব্যক্তিই হতে পারবেন উপাচার্য। একই সঙ্গে নয়া বিধি অনুযায়ী, উপাচার্য নিয়োগে ক্ষমতাও বাড়ানো হচ্ছে আচার্যদের। নতুন বিধি অনুসারে, সার্চ কমিটির তৈরী প্যানেল থেকে একজনকে বেছে নিতে পারবেন আচার্যরা। মানে অন্য কোনও পক্ষের মতামত দেওয়ার সুযোগ থাকবে না। এছাড়া, অধ্যাপক, চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগের নিয়মেও গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনতে চলেছে ইউজিসি। সেই সংক্রান্ত খসড়াও প্রকাশ করা হয়েছে। সাধারণভাবে রাজ্যপালই রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্যের ভূমিকা পালন করে থাকেন। এই আবহে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তারের আশায়, রাজ্যপালের পরিবর্তে মুখ্যমন্ত্রীকে উপাচার্য করার বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় বিলও পেশ করেছে শাসক দল। যদিও রাজ্যপাল বিলটিতে সম্মতি না দেওয়ায় সেটি কার্যকর করা যায়নি। এরই মধ্যে কেন্দ্রের এই নয় খসড়া বিধি সামনে এল। সমাজের নানা পেশার গুণিজনদের উপাচার্য করার প্রস্তাবটি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ামক সংস্থা জানিয়েছে, এরফলে উচ্চশিক্ষার সঙ্গে সমাজের সব অংশের সম্পৃক্ততা বাড়বে। নতুন নতুন ধারণায় সমৃদ্ধ হবে উচ্চশিক্ষা।

নতুন নিয়ম অনুযায়ী, এম.ই বা এম.টেক ডিগ্রিতে যাঁরা ৫৫ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন, তাঁরা নেট উত্তীর্ণ না হয়েও সহকারী অধ্যাপক পদে নিয়োগের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। তবে অন্যান্য বিষয়ের ক্ষেত্রে নেট উত্তীর্ণ হওয়া এখনও বাধ্যতামূলক। যেসব প্রার্থী স্নাতকে ৭৫ শতাংশ নম্বর ও স্নাতকোত্তরে ৫৫ শতাংশ নম্বর সহ পি এইচ ডি ডিগ্রী অর্জন করেছেন, তাঁরাই এই সুযোগ পাবেন। এবার থেকে প্রার্থীরা স্নাতক বা স্নাতকোত্তরে অধ্যয়ন করা বিষয় ছাড়াও অন্য বিষয়ে পি এইচ ডি করতে পারবেন। যেমন, গণিতে স্নাতক এবং পদার্থবিদ্যায় স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ কেউ, রসায়নে পি এইচ ডি করে রসায়নের অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ হতে পারেন।

শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান জানিয়েছেন, “এই পরিবর্তনের ফলে শিক্ষাক্ষেত্রে উদ্ভাবন, অন্তর্ভুক্তি, নমনীয়তা ও গতিশীলতা বৃদ্ধি পাবে। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী উভয়ের ক্ষমতায়ন হবে এবং শিক্ষার মানোন্নয়ন ঘটবে।”