দুঃসংবাদ, নেইমার ভক্তদের

আন্তর্জাতিক ক্রীড়া

নিউজ পোল স্পোর্টস ব্যুরো:- মেসি-সুয়ারেজ-নেইমার এই তিনজনকে ‘এমএসএন’ বলে ডাকা হয়। এই ত্রয়ী এক সময় বার্সেলোনায় ক্লাবে খেলতেন। সেই সময় থেকেই তাদের বন্ধুত্ব। জাতীয় দলের হয়ে আলাদা খেললেও তাঁদের তিনজনের মধ্যে বন্ধুত্ব আজও অটুট। এই ত্রয়ীর মধ্যে নেইমারকে আর ফুটবল পায়ে মাঠে দেখা যাবে না তা তিনি জানিয়ে দিলেন। যা ফুটবলপ্রেমে মানুষের কাছে অত্যন্ত দুঃখের খবর।

মেসি, নেইমার ও সুয়ারেজের অর্থাৎ ‘এমএনএস’ যুগলবন্দী দাপিয়ে বেরিয়েছিল ইউরোপের ফুটবলে। বার্সেনোনা ক্লাবে নেইমার যোগদান করেন ২০১৩-১৪ মরশুমে। তারপরের বছর সুয়ারেজ যোগদান করে। এই দুজনের আগে লিওনেল মেসি ছিলেন বার্সেলোনা ক্লাবে। এরপর তৈরি হয় ‘এমএসএন’ ত্রয়ী। কিন্তু বেশ কিছু বছর পরেই তিনজনের ক্লাব আলাদা হয়ে যায়। তিনজনকে আর একসঙ্গে মাঠে দেখা যায়নি। কিন্তু শেষবারের মতো হয়তো এই ত্রয়ীকে দেখা যেতে পারে মাঠে, ফুটবল প্রেমীদের কাছে অত্যন্ত সুখবর। কিন্তু এর সঙ্গে রয়েছে এক দুঃসংবাদ। পরের বছর অর্থাৎ ২০২৬ এর বিশ্বকাপে নেইমারের শেষ অভিযান তা তিনি জানিয়ে দিলেন। কি খবর শুনে তার ভক্তদের মন ভারাক্রান্ত।

নেইমার বর্তমানে আছেন সৌদি আরবের ক্লাব আল-হিলালে। আবার কবে তিনজনকে একসঙ্গে দেখা যাবে এই প্রশ্নের উত্তরে নেইমার বলেন, ‘মেসি আর সুয়ারেজের সঙ্গে আমার খেলতে পারলে দারুন হবে, ওঁরা আমার খুব কাছের। এখনও আমরা কথা বলি। আমাদের তিনজনের জুটিকে আগে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করাই যায়। যদিও আমি আল-হিলালে এখন ভালই আছে কিন্তু ফুটবল মানেই তো চমক ভবিষ্যতে কি হতে পারে তা তো কেউ বলতে পারে না।’ তাঁর এই বক্তব্যে ফুটবলপ্রেমীরা আকাঙ্ক্ষিত যে তিনজনে জুটিকে আবার হয়ত মাঠে দেখা যেতে পারে।

‘ইন্টার মিয়ামি’ যোগদান নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমরা বার্সেলোনা ছাড়ার খবর যখন প্রকাশ্যে আসে, তখন আমেরিকায় দলেবদলের বাজার বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ফলে আমার কাছে যোগদানের কোন সুযোগ ছিল না। সৌদির যে পরিকল্পনা ছিল সেটা আমার খুব পছন্দ হয়েছিল। সেই জন্য আমি সৌদিতে প্রো লিগে খেলার সুযোগ পেছনে।’

‘এমএনএস’ ত্রয়ীকে একসঙ্গে মাঠে দেখা যাবে এটা যেমন ফুটবলপ্রেমীদের কাছে সুখবর, তেমনি ২০২৬ এর বিশ্বকাপে নেইমারের শেষ খেলা এটিও খুবই দুঃসংবাদ নেইমার ভক্তদের কাছে। নেইমার বলেন, ‘২০২৬-এ আমি শেষ বিশ্বকাপ খেলব। সেটাই আমার শেষ সুযোগ। বিশ্বকাপ জেতার জাতীয় দলের হয়ে আমি আমার সর্বস্ব দেব।’