কোর এলাকায় কোনও নির্মাণ থাকলে এখুনি সরান, নির্দেশ ক্ষুব্ধ বিচারপতির

অপরাধ আইন কলকাতা জেলা রাজনীতি রাজ্য

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বক্সার কোর এলাকায় কোনও নির্মাণ থাকলে এখুনি সরিয়ে ফেলার নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের। বক্সা ব্যাঘ্র সংরক্ষণ বনাঞ্চল, বাণিজ্যক বনাঞ্চল হল কিভাবে জানতে চাইল হাই কোর্ট। ওই সংরক্ষিত বনাঞ্চল নিয়ে পরিবেশবিদ সুভাষ দত্তের ভূমিকা নিয়েও বিরক্ত কলকাতা হাই কোর্ট।

বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর মন্তব্য, একসময়ে আপনি এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। অথচ এখন ওই বনাঞ্চলকে বাঁচাতে আপনার দেখা মিলছে না। আপনার ইমেজের সঙ্গে মিল পাচ্ছি না!

এই মামলার শুনানিতে রাজ্যের তরফে জানান আদালতে উপস্থিত আইনজীবীর কাছে বিচারপতি জানতে চান, ‘বাঘ সংরক্ষণের জঙ্গল কিভাবে রাজ্যের একটি বিজ্ঞপ্তিতে রেভিন্যু ভিলেজ হল?’

বিচারপতি আরও বলেন, ওখানে পাথর ভাঙা হচ্ছে। এখন বালির বদলে পাথর মাফিয়া হয়েছে। পাথর কেটে ইট বানাচ্ছে! আপনারা কী জানেন সেই বিষয়ে?

মামলায় তিস্তার প্রসঙ্গ ওঠায় আপত্তি জানান সরকারি আইনজীবী বিশ্বব্রত বসু মল্লিক।

বিচারপতি তখনই বলেন, ‘তিস্তাটাও ফেলে রেখেছেন কেন ওখানেও নির্মাণ করে ফেলুন।’

এরপরেই বিচারপতির নির্দেশ, কোর এলাকায় কিছু থাকলে এখুনি সরিয়ে ফেলুন।

সুভাষ দত্ত বলেন, বক্সার সংরক্ষিত বনাঞ্চলের মধ্যে কোন হোম স্টে থাকবে না নির্দেশ দিয়েছিল পরিবেশ আদালত। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে আসে ওই গেস্ট হাউসের মালিকরা। জলপাইগুড়িতে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। কোর এলাকায় এমপিদের জন্য গেস্ট হাউস হয়েছিল৷ পরে আদালতের নির্দেশে সব ভাঙা হয়।

এর জবাবে রাজ্যের আইনজীবী বলেন, বনাঞ্চলের একদিক ব্যবহার হলেও সংরক্ষিত এলাকা বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করা হয়নি। ২০১৩ সালে কেন্দ্র বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায় বনাঞ্চলকে রেভিন্যু ভিলেজ করা যাবে। তাই রাজ্য এটি রেভিন্যু ভিলেজ করে।