নিউজ পোল ব্যুরো: দুঃস্থ মানুষদের সহায়তা করতে পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে চালু হয়েছিল ‘মা ক্যান্টিন’। এবার সেই প্রকল্পকে অনুসরণ করে উত্তরপ্রদেশে চালু হল ‘মা কী রসোই’। মহাকুম্ভের আগে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের উদ্যোগে এই বিশেষ প্রকল্পের সূচনা করা হয়েছে। মাত্র ৯ টাকায় এখানে পাওয়া যাবে ভরপেট দুপুরের খাবার।
উত্তরপ্রদেশ সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আর্থিকভাবে দুর্বল মানুষের জন্যই এই বিশেষ পরিষেবা চালু করা হয়েছে। প্রয়াগরাজের স্বরূপরানি নেহেরু হাসপাতালে সরকারি উদ্যোগে ‘মা কী রসোই’ এর উদ্বোধন করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ প্রয়াগরাজ সফরের দ্বিতীয় দিনে নিজে উপস্থিত থেকে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এক্স হ্যান্ডেলে একটি ছবি শেয়ার করে লেখেন, ‘আজ তীর্থরাজ প্রয়াগে নন্দী সেবা সংস্থান দ্বারা পরিচালিত ‘মা কী রসোই’-এর উদ্বোধন করা হল। মা অন্নপূর্ণা সকলকে কৃপা করুন।’ এই বিশেষ অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উত্তরপ্রদেশের একাধিক মন্ত্রী ও সরকারি আধিকারিকরা।
উত্তরপ্রদেশ সরকার রাজ্যের আর্থিকভাবে দুর্বল মানুষদের জন্য ‘মা কী রসোই’ প্রকল্প চালু করেছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে মাত্র ৯ টাকায় দুপুরের খাবার খেতে পারবেন যে কেউ। এই উদ্যোগ পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে নন্দী সেবা নামে এক সংস্থাকে। প্রকল্পের আওতায় যে খাবার সরবরাহ করা হবে, তাতে থাকবে ভাত, চারটি রুটি, ডাল, সবজি, স্যালাড এবং মিষ্টি। খাবার পরিবেশনের জন্য ২ হাজার স্কোয়ার ফুটের একটি ক্যান্টিন তৈরি করা হয়েছে, যেখানে একসঙ্গে ১৫০ জন মানুষ বসে খেতে পারবেন।
উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশে সদ্য চালু হওয়া এই প্রকল্প বাংলার ‘মা ক্যান্টিন’ প্রকল্পের সঙ্গে অনেকটাই সাদৃশ্যপূর্ণ। বাংলায় অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল মানুষদের কথা ভেবে বহুদিন আগেই এই প্রকল্প চালু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলায় এই প্রকল্পে মাত্র ৫ টাকায় সাধারণ মানুষদের জন্য ভাত, ডাল, কখনও আলু সবজি বা সোয়াবিনের তরকারি এবং ডিমের ঝোল সরবরাহ করা হয়। কলকাতা শহর থেকে শুরু করে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় এই পরিষেবা পাওয়া যায়। এখন উত্তরপ্রদেশে চালু হওয়া ‘মা কী রসোই’ প্রকল্প বাংলার সেই উদ্যোগেরই প্রতিফলন বলে মনে করছেন অনেকেই। প্রান্তিক মানুষদের সাহায্যের এই প্রয়াস দেশজুড়ে প্রশংসিত হচ্ছে।