নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা:- দেরীতে হলেও টনক নড়ল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যায়ের। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া এক দুঃখজনক ঘটনার পর অবশেষে প্রশাসনের টনক নড়েছে। এই ঘটনার ফলে শুধু যাদবপুর নয়, পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলিরও সুনাম ক্ষুণ্ণ হয়েছে। ঘটনার প্রেক্ষিতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কড়া পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ব়্যাগিংয়ের কলঙ্ক দীর্ঘদিন ধরেই জড়িয়ে আছে । ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে বাংলা বিভাগের এক নবাগত ছাত্রের মৃত্যু এবং সেই ঘটনার মেন হস্টেলের সঙ্গে যোগসূত্র নিয়ে রাজ্যজুড়ে তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি হয়। এবার ব়্যাগিংয়ের ঘটনায় জড়িতদের ক্যাম্পাস ইন্টারভিউ দিয়ে চাকরি পাওয়ার খবর সামনে আসতেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যান্টি ব়্যাগিং কমিটির সাম্প্রতিক বৈঠকে এই সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ব়্যাগিংয়ে জড়িত ছাত্রদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ হিসেবে তাঁদের পরীক্ষার ফলাফলের মার্কশিট আটকে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফলে চাকরিতে যোগ দেওয়ার পথ অনেকটাই কঠিন হয়ে যাবে।
অ্যান্টি ব়্যাগিং কমিটির বৈঠকে উঠে আসা সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ব়্যাগিংয়ের অভিযোগে জড়িত ছাত্রদের পরীক্ষার মার্কশিট আদালতের নির্দেশ ছাড়া দেওয়া হবে না। গত সপ্তাহের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তবে যেসব ছাত্র ব়্যাগিংয়ে জড়িত থাকলেও এখনও শাস্তির আওতায় আসেনি, তাঁদের ক্ষেত্রে বিষয়টি বিচারাধীন রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মতে, ব়্যাগিংয়ে জড়িত বেশ কয়েকজন পড়ুয়া বর্তমানে জেলে থাকলেও আরও কিছু অভিযুক্ত ছাত্র শাস্তি থেকে বেঁচে গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনকে শোকজ করা হয়েছে, আবার কয়েকজনকে সাময়িক বহিষ্কার বা নির্দিষ্ট সেমিস্টার থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। কিন্তু ১৫ জন অভিযুক্ত ছাত্র কলকাতা হাইকোর্টে গিয়ে শাস্তির স্থগিতাদেশ আদায় করেছে। তবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সিদ্ধান্ত কি এবার রাজ্যের সব কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে এই পথেই হাঁটবে নাকি এর থেকেও কড়া পদক্ষেপের পথে হাঁটবে। শিক্ষা দুর্নীতির জন্য রাজ্যে সিক্ষার মান যে কোন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে তাআর কাউকেই বলার দরকার পড়বে না। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সিদ্ধান্তই কি এবার রাজ্যের শিক্ষার মানকে পুরোো জায়গায় নিয়ে যেতে সাহায্য করবে,অপেক্ষা এখন শুধুই সময়ের।