কুম্ভমেলাতে কে এই সুন্দরী সাধ্বী? তোলপাড় নেটদুনিয়া

দেশ বিনোদন সংস্কৃতি

নিউজ পোল ব্যুরো : মহাকুম্ভে মকর সংক্রান্তির সকালেই এক কোটির বেশি মানুষ পুণ্যস্নান করলেন। মঙ্গলবার ভোররাত থেকে প্রথমে নাগা সন্ন্যাসীর দল, পরে সাধুসন্তু, ভক্তরা ও সাধারণ মানুষ মোক্ষলাভের উদ্দেশ্যে পুণ্যস্নান করেন গঙ্গা-যমুনা-ত্রিবেণী সঙ্গমস্থলে অর্থাৎ প্রয়াগরাজে। লক্ষ লক্ষ ভিড়ের মাঝে দেশ তথা বিশ্ববাসীর নজর কেড়েছে ‘সুন্দরী সাধ্বী’। আগুনরূপী সুন্দরী সাধ্বীকে নিয়ে মহাকুম্ভ মেলা তোলপাড়। তাঁর সৌন্দর্য্য বলিউডের যেকোন নায়িকাকে বলে বলে গোল দিতে পারে। তাঁর বিভিন্ন ছবি এরইমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গেছে।

কিন্তু এই ‘সুন্দরী সাধ্বী’র আসল পরিচয় কি! ওই সুন্দরীর নাম হর্ষ রিচারিয়া, বাড়ি উত্তরাখণ্ডে। অতীতে সঞ্চালিকা হিসেবে কাজ করতেন এই নেটপ্রভাব। নিজেকে ‘অ্যাঙ্কর হর্ষা’ নামে পরিচয় দিতেন। তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া আকাউন্ট খুললে দেখা যায় সঞ্চালনার ছবি ও ভিডিও। এছাড়া দেশ-বিদেশ ভ্রমণের বিভিন্ন ছবি পোস্ট করেছেন। হর্ষা ২০২৪ সালে নভেম্বর মাসে ব্যাংককের হুয়া হীন সিটিতে ‘ডেস্টিনেশন বিয়ে’ করেছিলেন। পরে মায়ানমারের মান্দালয় শহরে আবার বিয়ে করেন। ইনস্টাগ্রামে তাঁর ফলোয়ারের সংখ্যা প্রায় ১০ লক্ষ। বর্তমানের তাঁর বয়স ৩০ এওবং গত ২ বছর ধরে তিনি সাধ্বী হয়েছেন। তিনি আচার্য মহামণ্ডলেশ্বরের কাছ থেকে দীক্ষা নিয়েছেন।

আঙ্কারিং ছেড়ে হটাৎ এই পথ তিনি বেঁচে নিলেন কেন এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘দেহের থেকে আত্মার শান্তির জন্য আমি সাধ্বীর পথ বেঁচে নিয়েছি। আমি এখনও সঞ্চালনার কাজ চালিয়ে যাচ্ছ।’ সাধ্বী হওয়ার পর তিনি নিজেকে ‘সনাতনী’ ও ‘হিন্দু সন্তনি সিংহী’ বলে পরিচয় দেন। হর্ষাকে সাধারণত যে পোশাকে দেখা যায় তার থেকে সম্পূর্ণ অন্য রূপে ধরা দিলেন মহাকুম্ভ মেলায়। সাধ্বীর পোশাক, কপালে তিলক, গলায় ফুলের মাল পরে মেলায় পৌঁছন হর্ষা।

নেট-দুনিয়ায় তাঁর পরিচয় জানা গিয়েছে যে, সাধ্বী বলে নিজেকে তুলে ধরলেও হর্ষা রিচারিয়া আসলে একজন অভিনেত্রী, অ্যাঙ্কর এবং ফিটনেস ইনফ্লুয়েন্সার। তাই মহাকুম্ভে তাঁকে সাধ্বী হিসেবে পরিচয় দেওয়ায় নেট নাগরিকরা যারপরনাই ক্ষুব্ধ-বিরক্ত। এক সাংবাদিক হর্ষার একটি সৈকতযাপনের ভিডিও দিয়ে লিখেছেন, এই মহিলাই কি সেই মহিলা! যদি তিনি হন, তাহলে সাবধান! আরও বহু নেট-পথিক তাঁর অসংখ্য ছবি দিয়ে লিখেছেন, এই মহিলা মোটেই সাধ্বী নন।