নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা, পশ্চিম মেদিনীপুর: মেদিনীপুরের প্রসূতিকে দেওয়া স্যালাইন RL (রিঙ্গার লাকটেক) এর স্টক গিয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুর থেকে। প্রাথমিক তদন্তে নেমে এই মর্মে রিপোর্ট এল স্বাস্থ্য ভবনের হাতে। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের রিজার্ভ স্টোরে তদন্তে আসছেন স্বাস্থ্য ভবনের একটি টিম বলে জানালেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। তিনি আরও জানান ব্যান করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালসের সমস্ত স্টক।
উল্লেখ্য, রিঙ্গার লাকটেট স্যালাইন দেওয়ার পরেই মেদিনীপুরে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। আর সেই ঘটনা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য। পশ্চিম মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রসূতিদের যে রিঙ্গার ল্যাকটেট দেওয়া হয়েছিল তা নিয়ে আসা হয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা স্বাস্থ্য দফতরের রিজার্ভ স্টোর থেকে। এমনই তথ্য প্রাথমিক তদন্ত নেমে উঠে এসেছে স্বাস্থ্য ভবনের হাতে। অপরদিকে, পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিটিক্যালসের তৈরি বেশ কয়েকটি ব্যাচ নম্বরের স্যালাইন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বহু চিকিৎসক। সেই নমুনা পাঠানো হয় ড্রাগ কন্ট্রোল ল্যাবরেটরিতে। বেশ কয়েকটি ব্যাচের রিপোর্ট আসলেও অনেকগুলি আসেনি। যে ব্যাচের রিপোর্ট আসেনি সেই রিঙ্গার্স লাকটেটগুলিকে সরিয়ে রাখতে নির্দেশ দিয়েছিল স্বাস্থ্য ভবন। স্বাস্থ্য ভবন তদন্তে নেমে জানতে পারে ২৩৯৬ ব্যাচ নম্বরে স্যালাইন দেওয়া হয়েছিল মেদিনীপুরের প্রসূতিকে। যা নিয়ে যাওয়া হয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য দফতরের রিজার্ভ স্টোর থেকে।
আরও দেখুন: https://fb.watch/x66i5yFUxh/
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা. বিভাস রায় জানান, জেলায় কোন ওষুধের স্টক কম পড়লে তা বাইরের জেলা থেকে আনানো হয়। পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে রিকুইজিশন এসেছিল, পূর্ব মেদিনীপুরের যে স্টক ছিল তা দেওয়া হয়েছিল। বিতর্কিত ‘আর এল’ স্বাস্থ্য ভবনের তরফ থেকে সরিয়ে রাখতে কোথাও বলা হয়নি। ৭ তারিখ একটাই নির্দেশ এসেছিল, পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালসের সব ম্যানুফ্যাকচার বন্ধ রয়েছে। তাই জরুরী ভিত্তিতে কোন ওষুধের প্রয়োজন হলে লোকাল পারচেজ করা যেতে পারে। পূর্ব মেদিনীপুরেও ওই ‘আর এল’ ব্যবহার করা হয়েছে, কোথাও মেদিনীপুরের মত ম্যাসিভ ঘটনা সামনে আসেনি!’
জেলার স্বাস্থ্য দফতরের রিজার্ভ স্টোরের ফার্মাসিস্ট প্রলয় মণ্ডল জানিয়েছেন, ‘এই মুহূর্তে পূর্ব মেদিনীপুরে পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালসের ৫৪ হাজার বোতল RL স্যালাইন মজুদ রয়েছে। পুরো স্টক এরই মধ্যে সিল করা হয়েছে। ইমার্জেন্সি বেসিসে লোকাল পারচেজ করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা চলছে। পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিটিক্যালসের তৈরি সব রকম ওষুধকে ব্যান করা হয়েছে।’