রাজস্ব বাড়াতে লক্ষ্যমাত্রা

কলকাতা জেলা রাজ্য

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা:- রাজস্ব সংগ্রহ বাড়াতে রাজ্য সরকার বালি ও পাথর খাদান, ইঁটা ভাটাগুলি থেকে রাজস্ব সংগ্রহের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। রাজ্যের ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতর চলতি আর্থিক বছরে জেলাগুলিকে ১১৬০ কোটি ৫৯ লক্ষ টাকা রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছে। পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূমের মতো বালি ও পাথর খাদান বহুল জেলা গুলিকে বাড়তি রাজস্ব সংগ্রহের টার্গেট দেওয়া হয়েছে বলে অর্থ দফতর সূত্রে জানা গেছে। পূর্ব বর্ধমানকে ২১৩ কোটি ১৪লক্ষ টাকা,বীরভূমকে ২৬৭ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা এবং পশ্চিম বর্ধমানকে ১৩১ কোটি ২৪ লক্ষ টাকার রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্র স্থির করে দেওয়া হয়েছে। বাঁকুড়াকেও সাড়ে ৬০ কোটি টাকার রাজস্ব সংগ্রহের টার্গেট দেওয়া হয়েছ। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জুড়ে ছড়িয়ে থাকা ইট ভাটা ও মাছ চাষের ভেড়ি গুলি থেকেও রাজস্ব আদায় বাড়াতে বলা হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে ৬৩ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকা এবং উত্তর ২৪ পরগনা থেকে ৩৯ কোটি ৫৭ লক্ষ টাকার রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। ঝাড়গ্রামকে দেওয়া হয়েছে ৭৩ কোটি ৪৯ লক্ষ টাকার রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা। পাশাপাশি হুগলিকেও ২৮ কোটি ৪৩ লক্ষ টাকা, হাওড়াকে ৪২ কোটি ৮৫ লক্ষ টাকা এবং মুর্শিদাবাদকে ৩৭ কোটি ৩৮ লক্ষ টাকা রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্র দেওয়া হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেআইনি খাদান বন্ধে একাধিকবার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি প্রকাশ্যে বলেছেন, এর সঙ্গে পুলিশ প্রশাসনের একাংশ জড়িত। তাই প্রশাসনকে চাপে রাখতেই রাজস্ব সংগ্রহ বাড়ানোর টার্গেট স্থির করে দেওয়া হয়েছে বলে নবান্নর একাংশের দাবি।পাশাপাশি চাষের জমিকে ভেড়িতে রূপান্তর করিয়ে মাটি বিক্রির ব্যবসা। এদের কাছে থেকে রাজ্য সরকার কোনও রয়্যালটি বা রাজস্ব পাচ্ছে না। শুধুমাত্র বালি ও পাথর খাদান বা ইটভাটা নয়, দখল হওয়া রাজ্য সরকারি জমি উচ্ছেদ করে দখলদারদের কাছ থেকে টাকার বিনিময় আইনি স্বীকৃতি দিয়ে রাজস্ব বাড়াতে চায়।

জমির খাজনা আদয়ের ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে রাজ্যের ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের তরফে জেলাগুলিকে চিঠিও দেওয়া হয়েছে বলেই সূত্রের খবর।