Partha Chatterjee: ‘ভালো থেকো’ অর্পিতাকে পার্থ

কলকাতা রাজনীতি

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: এখন একজন কারাগারে বন্দি। অপরজন কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত। যদিও একসময় একসঙ্গে গিয়েছিলেন সংশোধনাগারে, তারপরেই বিচ্ছেদ! এই বিচ্ছেদের পর ফের আদালতে ক্ষণিকের সাক্ষাৎ। বহুকাল দেখা হয়নি একে অপরের। মাঝে বেশ কয়েকবার ভার্চুয়ালি সাক্ষাৎ হলেও একে অপরের ইশারায় বুঝিয়েছিলেন মনের কথা। আজ আদালতে ফের ক্ষণিকের সাক্ষাতেই অর্পিতাকে ‘ভালো থেকো’ যত্নে মাখা শেষ বিদায় জানাতে ভুললেন না পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)।

Pillow: পায়ের ফাঁকে বালিশ রাখলে কী হয়?

কলকাতায় বিচার ভবনে নিয়োগে সংক্রান্ত ইডি মামলায় বিচার শুরু হয়েছে মঙ্গলবার থেকে। মামলায় দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্য গ্রহণ চলে বৃহস্পতিবার। উল্লেখ্য, বিচার ব্যবস্থা ইন ক্যামেরা চলার কারণে কোন তৃতীয় পক্ষকে এদিন প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি। যার ফলে সাক্ষীদের তালিকাও সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। তা আজ প্রকাশ করা যায়নি। কিন্তু আজ পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) এবং অর্পিতা উভয়েই সাক্ষ্য দেন। জানা গিয়েছে ইডির চার্জশিটে অভিযুক্তের তালিকায় রয়েছে আরও ৫৪ টি নাম। পার্থ অর্পিতা ছাড়াও আরও ২৮ জন ব্যক্তি এবং ২৫ টি সংস্থাকে অভিযুক্ত হিসেবে দেখানো হয়েছে এই চার্জশিটে।

সেখানেই আবারও প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী মুখোমুখি হন প্রাক্তন বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে। দেখা হতেই পার্থ বলেন, ‘আসি, তুমি ভালো থেকো’। এছাড়াও এদের মামলার অগ্রগতি নিয়ে বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেন পার্থ। মামলার অগ্রগতি নিয়ে কথা হয় অর্পিতার সঙ্গেও।

প্রাথমিকের দুর্নীতি মামলায় আজ সাক্ষ্য গ্রহণ হয় ইডির তরফে হাজির করা দুই সাক্ষীর। আজ বিচারপ্রক্রিয়ার দ্বিতীয় দিন। সকাল সাড়ে দশটা থেকে দুপুর আড়াইটে পর্যন্ত রুদ্ধদ্বার কক্ষে চলে সাক্ষ্যগ্রহণ। সূত্রের খবর, এদিন দ্বিতীয় সাক্ষীকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী সওয়াল করলে তিনি জানান, উনি(পার্থ চট্টোপাধ্যায়) যখন ইন্ডাস্ট্রি মিনিস্টার ছিলেন তখন আমার সঙ্গে দেখা হয়েছিল। সেই সময় তিনি আমায় কিছু লোক দিতে বলেছিলেন সেটা আমি দিয়েছি।
এর পর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী প্রশ্ন করেন, আপনি তো জানেন কিভাবে কোম্পানি ফর্ম হয় তাহলে বলুন কি কি বেসিসে কোম্পানি ফর্ম হয়? সেটা আপনি বিস্তারিত বলুন।
এতে বিচারক উষ্মা প্রকাশ করেন এবং বলেন, অপ্রয়োজনীয় প্রশ্ন করবেন না।

একইসঙ্গে, সূত্রের খবর, মঙ্গলবার প্রথম সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের পর কিছু পেপারে তিনি স্বাক্ষর না করে চলে গিয়েছিলেন, যা আজ ইডির আইনজীবী তাঁকে দিয়ে স্বাক্ষর করিয়ে নেন। সূত্রের খবর, আজ প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের কোনও মেডিক্যাল রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়নি আদালতে এবং তাঁর শরীর খারাপ থাকায় তাঁকে ভার্চুয়ালি আদালতে উপস্থিত করানো যায়নি। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ ২০ জানুয়ারি।