ইউজিসির নয়া খসড়া নিয়ে সাফাই চেয়ারম্যানের

দেশ শিক্ষা

নিউজ পোল ব্যুরো : ইউজিসির তৈরি নয়া খসড়া নীতি নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্কের ঝড় দানা বেঁধেছে। এরমধ্যেই সমালোচিত হয়েছে সেই খসড়া নীতি। পশ্চিমবঙ্গ, কেরলের মতো রাজ্যগুলির তরফ থেকে অভিযোগ উঠছে। তাদের অভিযোগ, রাজ্যের হাত থেকে ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে কেন্দ্র নিজের হাতে ক্ষমতা নিয়ে আসলে শিক্ষার গৈরিকীকরণের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এই খসড়া নীতিতে উপাচার্য নিয়োগে আচার্যকে সর্বোচ্চ ক্ষমতা দেওয়ার থেকে শিক্ষাক্ষেত্রের বাইরের ব্যক্তিদের উপাচার্য করা নিয়ে এবার জবাব দিলেন ইউজিসির চেয়ারম্যান এম জাগদেশ কুমার।

সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের সমাবর্তন উৎসবে এসে সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে জাগদেশ কুমার জানান, উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে আচার্যকে যে সর্বোচ্চ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে সেই নীতি সমস্ত রাজ্যকে মান্যতা দেওয়া উচিত। জাতীয় শিক্ষা নীতিকে মান্যতা দিয়ে এই খসড়া তৈরি হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, এটি নতুন কোনও বিষয় নয়। ২০১০ সালের আগে একই ভাবে উপাচার্য নিয়োগের দায়িত্ব একজন আচার্য তথা রাজ্যপালের উপরের ন্যস্ত থাকতেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

শিক্ষাবিদ ছাড়াও শিল্পপতি থেকে শুরু করে বেসরকারি ফার্মের প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিরাও উপাচার্য হতে পারবেন কি? এই প্রশ্নের উত্তরে ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, শিক্ষার পরিসর এখন অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। একাধিক অভিমুখ তৈরি হয়েছে। সেখানে একজন শিক্ষাবিদ ছাড়াও বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিরাও নজির গড়ছেন। তাই শিক্ষাক্ষেত্রের বাইরে ব্যক্তিদেরও উপাচার্য পদের জন্য সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি এখন ইউজিসির বরাদ্দ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে অভিযোগ। এই প্রসঙ্গে ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘এখন ইউজিসি বরাদ্দ রুসা ফান্ডের মাধ্যমে দেওয়া হয়। এখন এই বিষয়টি অনেক প্রতিযোগিতামূলক হয়ে গেছে। এটাকে দয়া করে কেউ প্লেটে সাজানো খাবার ভাববেন না, যে চাইলাম আর পেয়ে গেলেন। ইউজিসির সমস্ত নিয়ম, ন্যাকে সন্তোষজনক গ্রেড ও অন্যান্য মাপকাঠিতে সফলভাবে উত্তীর্ণ হলে, নিজেকে প্রমাণ করলে তবেই এই রুসা ফান্ড পাওয়া যাবে।আইআইটি তে একের পর এক পড়ুয়ার আত্মহত্যা নিয়ে উদ্বিগ্ন ইউজিসি চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘এটা সত্যি খুবই উদ্বেগজনক ঘটনা। এক্ষেত্রে আমাদের নির্দিষ্ট গাইডলাইন রয়েছে। উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে পড়ুয়াদের মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে বিশেষ নজর দেওয়ার আবেদন।’