নিউজ পোল ব্যুরোঃ মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন কাণ্ডে এবার সদ্যোজাতর মৃত্যু! বৃহস্পতিবার সকালে অসুস্থ প্রসূতি রেখা সাউয়ের শিশুপুত্রের মৃত্যু হল। টানা ৭ দিন ভেন্টিলেশনে লড়াই করছিল শিশুটি। কিডনি,জন্ডিস সংক্রান্ত সহ একাধিক রোগে ভুগছিল সদ্যোজাত। ঘটনার পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
হাসপাতাল সুত্রে খবর, ৮ জানুয়ারি রাতে জন্মের পর কাঁদেনি সদ্যোজাত। একাধিক রোগে ভুগছিল শিশুটি। ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। সুস্থ করার জন্য অনেক চেষ্টা করা হয়েছে কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ৮ জানুয়ারি রাতে সিজার হয় ৫ প্রসূতির। তখনই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন ৫ প্রসূতি। তাঁদের মধ্যে মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন ব্যবহারে মৃত্যু হয় মামনি রুই দাসের। বাকি ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় কলকাতায় চিকিৎসাধীন তাঁরা। তবে তাঁদের মধ্যে মেদিনীপুর মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন থাকার পর ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠেন আরেক প্রসূতি রেখা সাউ।
কিন্তু জন্মের পর থেকেই অসুস্থ ছিল তাঁর সন্তান। আচমকাই রেখা সাউয়ের সন্তানের অবনতি ঘটলে প্রথমে শিশুটিকে এসএনসিউতে রাখা হয় পরে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। তবে আর বাঁচানো গেল না সদ্যোজাতকে। বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়। পরিবারের অভিযোগ, বিষ স্যালাইন প্রয়োগের কারণেই মৃত্যু হয়েছে তাঁদের শিশুর। এবার সিআইডি নয়, সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
অপরদিকে, এই স্যালাইন কান্ডের জেরে স্বাস্থ্য দফতরের বিশেষ সচিব চৈতালি চক্রবর্তীকে তাঁর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিল রাজ্য সরকার। তিনি ওষুধপত্র কেনা ও সরবরাহের দায়িত্বে ছিলেন। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের দায়িত্বে থাকা বিশেষ সচিব শুভঞ্জন দাসকে চৈতালি চক্রবর্তীর বদলে ওষুধপত্র কেনা ও সরবরাহের বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। চৈতালি চক্রবর্তীকে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের পরিকল্পনা ও স্ট্র্যাটেজি বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।