নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা : ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নতুন হাতি বাড়ি’ নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। এই বাড়ির বেআইনী বলে দাবি করে আজ শুক্রবার কলকাতা (Kolkata) পুরসভায় সরব হন বিজেপির কাউন্সিলর সজল ঘোষ ও মীনাদেবী পুরোহিত।
Breakfast Tips: সুস্থ থাকতে সকালে এড়িয়ে চলুন এই সাধারণ ভুলগুলো
তাঁদের অভিযোগ, এই বাড়ির মালিক একজন পৌরমাতা। তাঁর এলাকা থেকে যত ভোট তার থেকে বেশি ভোটে তিনি নির্বাচনে জয়ী হন। ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপির কাউন্সিলর সজল ঘোষের দাবি, ৪৯৭ সন্তোষপুর এভিনিউ ১০৩ নম্বর ওয়ার্ডে অন্যান্য বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের নামে একটা বাড়ি কেনেন। পরবর্তীকালে বিনা অনুমতি সেখানে ৫ তলা বাড়ি হয়ে যায়। তার পিছনে আরও একটা বাড়ি কেনেন। সেখানেও বাড়ি তৈরি হয় সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে। পরে কলকাতা (Kolkata) পুরসভার মেয়র পরিষদ বৈঠকে বেআইনি বাড়িটিকে আইনি বৈধতা দেওয়া হয়।
https://www.facebook.com/share/p/14ntxvWaWn/
তাঁর আরও অভিযোগ, গত বুধবার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেছিলে, ‘কাউন্সিলরদের সঙ্গে বেআইনি বাড়ির তৈরির কোন সম্পর্ক নেই। অথচ তাঁদের কাউন্সিলরাই বেআইনি ভাবেই বাড়ি তৈরি করেছেন। দুটো বাড়িকেই আইনি ভাবে বৈধতা প্রদান করল কলকাতা পৌর সংস্থা!
কাউন্সিলার সজল ঘোষ বলেন, ‘প্রথম কথা হয়েছে পৌর সংস্থার বিল্ডিংয়ের আইনে পরিবর্তন আনা হয়েছে। পাবলিক বলছে একটা হেলানো মিনার এখানে হচ্ছে। আমি যে অভিযোগ তুলছি সেটা নিয়ে মেয়র কে প্রশ্ন করুন আপনারা। এই বাড়িটি মিনু রাণী ভাওয়ালের থেকে ২০২২ সালে কেনা হয়েছিল। বাড়ির দোতলাটি কিনেছিলেন অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাড়িটি দেখলে বোঝা যায় মা মাটির মানুষ নয়।’ আমি আইনিভাবে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করব বলে জানান, সজল ঘোষ।
সজল ঘোষ আরও অভিযোগ করে বলেন, ‘কাউন্সিলর এখন নিখোঁজ হয়ে রয়েছেন তাকে পুলিশ খুঁজছে না। আপনারা বলুন বাড়ির ভিত্তি যদি লোহা না হয় তাহলে স্বাভাবিকভাবেই বাড়ি ভাঙবে। কি করছে নগর উন্নয়ন মন্ত্রী?’ এছাড়াও তিনি মুখ্যমন্ত্রী ও কলকাতা মেয়রের বিরুদ্ধেও অভিযোগ তুলেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা এই বিষয়টি নিয়ে আদালত যাব। একটা সরকার কতটা অমানবিক হতে পারে সেটা আমরা দেখব। কাঠমানি এখন অতীত, এখন হচ্ছে সাথ ঠিকানা। কাউন্সিলরের সঙ্গে প্রোমোটার দের চুক্তি হচ্ছে তার পড়ে বাড়ি তৈরি হচ্ছে!