নিজস্ব প্রতিনিধি, বনগাঁ: পড়াশোনার পাশাপাশি নাচ ছিল তাঁর ধ্যানজ্ঞান। ২০১৬ সালে বাংলা টেলিভিশনের শো ‘ডান্স বাংলা ডান্সের’ জনপ্রিয় নাচের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে সুনামও অর্জন করেছিল সে ৷ এমন প্রতিভাসম্পন্ন একাদশ শ্রেণির ছাত্রী তথা উদীয়মান নৃত্যশিল্পীর মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য উত্তর ২৪ পরগনার চাঁদপাড়ায়। মৃতের নাম অদ্রিকা দাস (১৭)। মঙ্গলবার রাতে ঘর থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের অভিযোগ, মেয়েকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছে তার বন্ধুরা।মৃতার দুই বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের নাম সুমন্ত বিশ্বাস ও রকি দাস ওরফে বিট্টু। দু’জনেরই বাড়ি চাঁদপাড়া ঢাকুরিয়া এলাকায়।
ধৃতদের বৃহস্পতিবার বনগাঁ আদালতে তোলা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। জানা যায়, চাঁদপাড়ার বাসিন্দা অদ্রিকা নৃত্যশিল্পী হিসেবেও পরিচিত। পড়াশোনার পাশাপাশি নাচ-গান নিয়ে থাকত সে। টেলিভিশনের জনপ্রিয় নৃত্য প্রতিযোগিতায় সুনামও অর্জন করেছিল। মঙ্গলবার রাতে ঘর থেকে ওড়না দিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে জানায়। পরিবারের অভিযোগ, মেয়েকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছে তার বন্ধুরা। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ দুই বন্ধুকে গ্রেফতার করে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বন্ধুদের সঙ্গে বনগাঁ সাতভাই কালী মন্দিরে পুজো দিয়ে বিকেলে এক বান্ধবীর সঙ্গে ঘুরতে বেরিয়েছিল। রাতে মায়ের সঙ্গে এলাকায় একটি কালী পুজোয় যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অদ্রিকার বাবার কাছে মেয়ের এক বন্ধু ফোন করে জানায়, অদ্রিকা আত্মহত্যার চেষ্টা করছে। তড়িঘড়ি অদ্রিকার বাবা বাড়ি ফিরে দেখেন, মেয়ে ঘরে ওড়না দিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে রয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, মেয়েকে বেশ কিছুদিন ধরে উত্যক্ত করত কয়েকজন বন্ধু। ঘটনার দিনও বাড়ির সামনে এসে নানা কটূক্তি করে তারা।
পরিবারের দাবি, মেয়েকে বেশ কিছুদিন ধরে উত্যক্ত করত তার কয়েকজন বন্ধু। সেই বন্ধুরা অদ্রিকাকে তার বান্ধবীদের সঙ্গেও মিশতে দিত না। কিছুদিন আগে তারা অদ্রিকাকে উত্তক্ত করে এবং কটু কথা বলে। এরপরই তার দেহ উদ্ধার হয়। তবে ঘটনার আগে পর্যন্তও হাসিখুশি ছিল সে। হঠাৎ করে কীভাবে এই ঘটনা ঘটে গেল তা বুঝতে পারছেন না কেউই৷ তাকে প্ররোচনা দিয়ে এই কাজ করানো হয়েছে বলে দাবি পরিবারের। এই মর্মে গাইঘাটা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন অদ্রিকার বাবা। অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা ৷