নিউজ পোল স্পোর্টস ব্যুরো : ইডেনে ভারত-ইংল্যান্ডের টি-২০ বাকি আর কয়েকদিন। তার আগে নতুন এক সমস্যার সম্মুখীন হল ইডেনের কর্তৃপক্ষরা। ইডেনে পেস-সহায়ক পিচ তৈরি করলে রান উঠবে না, ব্যাটিং-সহায়ক পিচ তৈরি হচ্ছে ভারত-ইংল্যান্ডের টি-২০র জন্য। কিন্তু এক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হতে পারে তা হল শিশির। ইডেন মাঠকর্মীদের থেকে জানা যায়, শীতকালে প্রত্যেকদিন শিশির পড়ছে। ২২ জানুয়ারী যদি বেশি শিশির পরে সেইদিন যারা রান তাড়া করবে বাড়তি সুবিধা তারাই পাবে। এছাড়া শিশির কমানোর জন্য ব্যবহার করা হবে বিশেষ এক ধরণের স্প্রে। এই স্প্রে ছড়িয়ে দেওয়ার পাঁচ মিনিটের মধ্যে শিশির উধাও হয়ে যাবে।
আগামী ২২ জানুয়ারী থেকে শুরু হচ্ছে ভারত বনাম ইংল্যান্ড পাঁচ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ। ১৪ মাস পর ঘরের মাঠে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরছেন মহম্মদ শামি। ২০২৩ সালে দেশের মাটিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনালের পর এই প্রথম মাঠে নামছেন শামি। ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচে সবচেয়ে বড়ো সমস্যা শিশির আর তার জন্য ব্যবহার করা হবে এক বিশেষ স্প্রে। এছাড়া ওভারের মাঝে মাঝে সুপার-সপারে দড়ি ও কাপড় বেঁধে মাঠের জল মুছে দেওয়া হবে, ক্রিকেটের ভাষায় একে ‘রোপিং’ বলা হয়।
শেষপর্যন্ত ইডেন পিচ কেমন হবে তা জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। ইডেনের এক মাঠকর্মীর মতে, ‘যে পিচ বানানো হয়েছে তাতে ব্যাটসম্যানেরা সুযোগ পাবেন রান করার। এই পিচে ১৭০ থেকে ১৮০ রান হামেশাই উঠে যাবে।’ শনিবার কলকাতায় আসবে ভারত ও ইংল্যান্ডের টিম। রবিবার দুপুরে ইডেনে অনুশীলন করবে ইংল্যান্ড ও রাতে ভারত। তবে জানুয়ারির শেষের দিকে ইডেনে শিশির একটা বড়ো সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। সন্ধ্যে নামলেই ইডেনে এখন শিশির পরে। সচরাচর আকাশ পরিষ্কার থাকলে শিশির বেশি পরে। যে কারণে অনেকেই বলছেন, আগামী ২২ জানুয়ারী ভারত টসে জিতলে ফিল্ডিং নিলে ভালো হয়। এর ফলে পরে ব্যাটিং করতে সুবিধা হবে। কারণ রাত যত বাড়বে শিশিরের প্রকোপ তত বাড়বে। ফলস্বরূপ, বল গ্রিপ করা কঠিন হয়ে পড়বে।