নিউজ পোল ব্যরোঃ এতোদিন সকলেই জানতাম বিধাতার হাতেই জন্মমৃত্যুর সব চাবিকাঠি থাকে,কিন্তু এখন যুগ বদলেছে তাই প্রযুক্তিই এবার বলে দেবে এআই। ভাবুন তো মৃত্যুর তারিখ কিনা বলে দেবে এআই! মৃত্যু কিনা বলে দেওয়া সম্ভব আগে থেকে। ছোটবেলার সেই টাইম মেশিনে একবার চেপে ভবিষ্যৎ ঘুরে আসার মতো বিস্ময়কর স্বপ্নই এবার বাস্তবে আলোরণ ফেলে দিয়েছে গোটা বিশ্বেজুড়ে। অবাক করা বিষয় আসলেই সত্যি হতে চলেছে এই আধুনিকতার যুগে। আপনি ভবিষ্যতের শেষবেলায় মৃত্যুর ঠিক কতটা কাছে আছেন, তা এবার আগে থেকেই বলে দেবে এআই ক্যালকুলেটর। সম্প্রতি ল্যানসেটে প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণাপত্র। এরইমধ্যে ১ লাখ ৯০ হাজার জন রোগীকে পরীক্ষা করা হয়েছে এই প্রক্রিয়ায়। ইসিজি পরীক্ষা করা হয়েছে এই এআই ক্যালকুলেটর ব্যবহার করে। এই নতুন টুলটির নাম AI-ECG রিস্ক এস্টিমেটর বা সংক্ষেপে (AIRE)।
এই টুলের কাজ আপনি মৃত্যুর ঠিক কতটা কাছে তা জানিয়ে দেওয়া। সম্প্রতি ল্যানসেট ডিজিটাল হেলথ-এ প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়েছে, এআই-চালিত ইলেক্ট্রোকার্ডিওগ্রাম (ইসিজি) ভবিষ্যতের স্বাস্থ্য সমস্যা এমনকি মৃত্যুর ঝুঁকি কতখানি তার ভবিষ্যদ্বাণী করতে সক্ষম। মোটামুটি আগামী দশ বছরে কি হতে চলেছে তা বলে দিতে সক্ষম এবার এআই। তবে এটাকে এখনই দৈনন্দিন জীবনের ক্ষেত্রে ব্যবহার করার ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি। চলবে আরও গবেষণা, তারপরেই ভাবা হবে এই বিষয় নিয়ে।
তবে আপাতত বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, মৃত্যুর পূর্বাভাস বলতে পারে এআই। শুধু তাই নয় এমনকি ভবিষ্যতে হার্ট ফেইলিওরের সম্ভাবনা কতখানি সেকথাও জানাতে পারে এই টুল। আপনার হার্টটি কখন চলতে চলতে তার হৃদস্পন্দন বন্ধ করে দিতে পারে তা এক নিমিষেই বলে দিতে পারে এআই। এখনও পর্যন্ত এই টুল, ৭৮ শতাংশ নির্ভুলতার সঙ্গে আগামী ১০ বছর পর্যন্ত মৃত্যুর ঝুঁকি কতখানি তা বলতে সক্ষম হয়েছে। গবেষকরা জানিয়েছেন, যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য সংস্থা ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের অধীনে দুটি হাসপাতালে পরীক্ষামূলকভাবে আগামী বছরের মাঝামাঝি থেকে এই প্রযুক্তি পরীক্ষা করার জন্য প্রস্তুত। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা জুড়ে ব্যবহার করা সম্ভব হবে এমনটাই আশাবাদী বিশেষজ্ঞরা।
তবে এই টুলকে বিজ্ঞানীরা মানুষের সেবার কাজে ব্যবহার করতে চান একথা আগে থেকেই জানিয়েছেন। কে কত তাড়াতাড়ি বিপদে পড়তে চলেছেন তা আন্দাজ করতে পারলেই হয়তো জীবন বাঁচানো সম্ভব হবে অনেকেরই। আকস্মিক হাটফেলিয়র আঁটকাতে সঠিক সময় চিকিৎসা করা সম্ভব হবে ভবিষ্যতে। তাই আপাতত জন কল্যাণের জন্যই এই এআইকে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার কাজ চলবে।