মার্কিন মুলুকে চা-সিঙ্গারার ঝড়

আন্তর্জাতিক

নিউজ পোল ব্যুরো: গত কয়েক বছর ধরে আটলান্টিক পাড়ে ভারতীয় পর্যটকদের ভিড় যেন লেগেই রয়েছে! ২০১৯ সালে যে সংখ্যাটা ছিল বেশ চমকে দেওয়ার মতো, ২০২৪ সালে সেই সংখ্যাটা প্রায় ৪৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ লক্ষ! হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন, ভারত থেকে এত মানুষ ছুটছেন আমেরিকায় যে, মার্কিন মুলুকের হোটেলিয়ার্সরা এখন তাঁদের মেনুতেই বিপ্লব ঘটিয়ে দিয়েছেন। শোনেননি? চা আর সিঙ্গারার জায়গা করে দেওয়া হয়েছে দুনিয়ার সবচেয়ে ধনী দেশের কফিশপ আর ব্রাঞ্চ মেনুতে!

অর্থনীতিক আর সমাজবিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর পেছনে রয়েছে ভারতের মধ্যবিত্ত শ্রেণির দ্রুত বৃদ্ধি। ভারতের মধ্যবিত্ত শ্রেণি এখন শুধু ‘চলো ঘুরে আসি’ বলেই থেমে নেই। তাঁরা দৌড়চ্ছেন সোজা আমেরিকায়। তাঁদের ট্রাভেল ব্যাগে শুধু জামাকাপড় নয়, থাকছে স্টেটসের নানান দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখার লিস্ট। আর এই ‘আমেরিকা অভিযান’-এর জন্য মার্কিন মুলুকও প্রস্তুত।

মার্কিন রেস্তোরাঁগুলোতে ভারতীয় পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে যোগ হয়েছে নতুন মেনু। সেখানে পিৎজা-বুরিটোর পাশে জায়গা নিয়েছে চা আর সিঙ্গারা। শুনে মনে হতে পারে, ‘এটাও সম্ভব?’ কিন্তু হ্যাঁ, মার্কিনরা বুঝে গেছে, ভারতীয় পর্যটকদের মন জয় করতে চাইলে পেটটা আগে ভরাতে হবে। তবে একদিকে আমেরিকায় ভারতীয় পর্যটকের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে, আরেকদিকে পূর্ব এশিয়ার পর্যটন শিল্পের যেন মাথায় হাত পড়েছে। কারণ, ভারতীয়রা এখন আর ব্যাঙ্কক বা সিঙ্গাপুরে থেমে থাকছে না। তাঁরা পাসপোর্ট হাতে, আমেরিকার ভিসা পকেটে নিয়ে ঢুকে পড়ছে নিউ ইয়র্ক, লস অ্যাঞ্জেলেস আর অরল্যান্ডোর রাস্তায়।

আমেরিকার পর্যটন শিল্পে এই বদল একটা গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়েছে। পর্যটকদের জন্য আতিথেয়তার সংজ্ঞা বদলে যাচ্ছে। আর সেই বদলের নেতৃত্ব দিচ্ছে জো বাইডেনের দেশ। ভারতীয় পর্যটকরা যেন বলে দিচ্ছেন, ‘হোটেলের ঘরে শুধু ভাল বিছানা দিলেই হবে না, মেনুতেও দিতে হবে দেশি ছোঁয়া।’ তাহলে এখন কি আমেরিকায় গিয়ে এক কাপ চা আর সিঙ্গারা চাইতে পারবেন? অবশ্যই পারবেন! তবে মনে রাখবেন, বিলটা কিন্তু ডলারে আসবে!