Kumbh Mela: মহাকুম্ভে আখড়া থেকে বিতারিত ‘আইআইটি বাবা’

আন্তর্জাতিক দেশ

নিউজ পোল ব্যুরো:- আধ্যাত্মিকতা এবং বিজ্ঞানের সংমিশ্রনে নিজের ভাবধারা ছড়িয়ে দিতে চাওয়া এক ব্যক্তিত্ব, যিনি পরিচিত ‘আইআইটি বাবা’ নামে। অভয় সিং, এক সময়ের আইআইটি বোম্বের এরোস্পেস এঞ্জিনিয়ার, যিনি পরবর্তীতে নিজেকে আধ্যাত্মিকতার দিকে উৎসর্গ করেছিলেন। তবে তাঁর এই যাত্রা বিতর্কে ভরা (Kumbh Mela)। সম্প্রতি মহাকুম্ভের (Kumbh Mela) জুনা আখড়া থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার খবরে তিনি আবারও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন।

Breakfast Tips: সুস্থ থাকতে সকালে এড়িয়ে চলুন এই সাধারণ ভুলগুলো

সূত্রের খবর, অভয় সিংকে জুনা আখড়ার শিবির এবং তার আশপাশের এলাকায় প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অভিযোগ, তিনি তাঁর গুরু মহন্ত সোমেশ্বর পুরীর বিরুদ্ধে অশালীন ভাষা ব্যবহার করেছেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে আখড়ার সদস্যরা তাঁকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। জুনা আখড়ার এক সদস্যের বক্তব্য অনুযায়ী, “অভয় সিং আদৌ সাধু নন, বরং একজন ভবঘুরে। তিনি কখনও আমাদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। তিনি টিভিতে যা খুশি বলতেন। তাই তাঁকে বের করে দেওয়া হয়েছে।”

https://www.facebook.com/share/p/14ntxvWaWn/

এর পাশাপাশি আরও জানানো হয় যে তিনি কারও শিষ্য ছিলেন না। অভয় সিং এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন “আখড়ার সাধুরা আমার জনপ্রিয়তা সহ্য করতে পারছেন না। তাঁরা মনে করছেন, আমি বিখ্যাত হয়ে গিয়েছি এবং তাঁদের কিছু গোপন বিষয় ফাঁস করতে পারি। তাই এসব গুজব ছড়ানো হচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “এসব মিথ্যে কথা। বিজ্ঞান জীবনের দৈহিক দিকটি ব্যাখ্যা করে, কিন্তু তার গভীর অধ্যয়ন মানুষকে আধ্যাত্মিকতার দিকে নিয়ে যায়। জীবনের সত্যিকারের উপলব্ধি মানুষকে আধ্যাত্মিকতার কাছাকাছি নিয়ে আসে।

https://www.youtube.com/@newspolebangla

দিনকয়েক আগে এক সাক্ষাৎকারে অভয় সিং তাঁর শৈশবের অভিজ্ঞতা নিয়ে বলেন, “আমার পরিবারে মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যা ছিল। আমার বাবা মায়ের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হত। এটি একটি শিশুর মনে গভীর প্রভাব ফেলে। স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে আমি ঘুমিয়ে পড়তাম, কারণ এই ঝগড়া আমি একদমই পছন্দ করতাম না। এই ঝগড়া থেকে আমি সবসময়েই পালতে চাইতাম। মধ্যরাতে উঠে দরজা বন্ধ করে আমি পড়াশোনা করতাম।” অভয় সিংয়ের জীবনের এই পরিবর্তন তাঁর দার্শনিক এবং আধ্যাত্মিক ভাবনার ফল। তিনি মনে করেন, বিজ্ঞানের গভীর অধ্যয়ন একজন মানুষকে আধ্যাত্মিকতার পথে পরিচালিত করতে পারে। তাঁর মতে, “বিজ্ঞান আর আধ্যাত্মিকতা একে অপরের পরিপূরক।”