সাতসকালে বেপরোয়া বাসের বলি মা

breakingnews কলকাতা শহর

নিজস্ব প্রতিনিধি: মঙ্গলবার সকালে যাদবপুর এলাকায় একটি ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় এক মহিলার মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। বিনোদিনী গার্লস স্কুলের এক ছাত্রী তার বাবা-মায়ের সঙ্গে স্কুটারে করে স্কুলে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার শিকার হয়। স্কুটারে ছিলেন মা, বাবা এবং তাঁদের কন্যা। সেই সময় দ্রুতগামী S31 নম্বরের একটি বাস স্কুটারটিকে ধাক্কা মারে। ধাক্কার তীব্রতায় মা ঘটনাস্থলেই মারা যান। বাবার অবস্থাও অত্যন্ত সঙ্কটজনক। তাঁকে সঙ্গে সঙ্গেই বাঘাযতীন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

সরকারি এস ৩১ বাসের ধাক্কায় স্কুটারে থাকা এক পরিবারের জীবনে নেমে এলো চরম বিপর্যয়। ৮বি বাস স্ট্যান্ড থেকে বেরিয়েই হঠাৎ গতি বাড়িয়ে দেয় এস ৩১ নম্বর বাসটি। সেই সময় স্কুটারে সন্তোষপুর থেকে ঢাকুরিয়া আসছিলেন তাপস মণ্ডল, তাঁর স্ত্রী দেবশ্রী নস্কর মণ্ডল এবং তাঁদের ৪ বছরের মেয়ে অঙ্কিতা মণ্ডল। মেয়েকে ঢাকুরিয়ার বিনোদিনী গার্লস স্কুলে পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন তাঁরা।

স্ট্যান্ড থেকে দ্রুত গতিতে বেরিয়ে আসা বাসটি ধাক্কা মারে স্কুটারটিকে। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন দেবশ্রী। তাঁকে দ্রুত বাঘাযতীন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও, চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে জানান। গুরুতর আহত অবস্থায় তাপস মণ্ডলকে ভর্তি করা হয়েছে অরবিন্দ সেবা কেন্দ্র হাসপাতালে। মেয়েটি সামান্য আহত হয়েছে। তাপস মণ্ডল কলকাতা পুরসভার ক্যাজুয়াল কর্মী, যিনি মেন্টেন্যান্স বিভাগে কাজ করেন। তাঁর স্ত্রী দেবশ্রীর এই আকস্মিক মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। অঙ্কিতা মণ্ডল ঢাকুরিয়া বিনোদিনী গার্লস স্কুলের এক জন ছাত্রী। হাসপাতালে অঙ্কিতার বাবা তাপস মন্ডলের চিকিৎসা চলার পর মৃত্যু হয়েছে বলে জানান চিকিৎসকেরা।

সূত্রের খবর, ঘটনার পর বাসটিকে আটক করা হয়েছে। চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে বাসের অতিরিক্ত গতি এবং অসতর্কতা দায়ী বলে প্রাথমিক অনুমান।