আসফাকউল্লা নাইয়ারের এফআইআরের ওপর স্থগিতাদেশ

breakingnews অপরাধ কলকাতা রাজনীতি রাজ্য স্বাস্থ্য

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডে প্রতিবাদী ডাক্তার আসফাকউল্লা নাইয়াকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ। রক্ষাকবচ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ ডাক্তার আসফাকউল্লা নাইয়া। এফআইআরের ওপর স্থগিতাদেশ কলকাতা হাই কোর্টের।

মামলায় পুলিশ কেন মেডিক্যাল নেগলিজেন্সি ধারা দিল প্রশ্ন আদালতের। এর জেরে হাই কোর্টের ভৎসনা রাজ্যকে। এফআইআরে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তাই ছয় সপ্তাহের জন্য স্থগিতাদেশ। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি।

রাজ্যের আইনজীবী: কেস ডায়েরী জমা দেওয়া হল আদালতের নির্দেশ মতো। আসফাকউল্লা যে ক্লিনিকে বসেন সেখানেই তাঁর নামের সাইনবোর্ডের ছবি দেখে বোঝা যাচ্ছে উনি কোন ডিগ্রি দেখিয়ে রোগীদের চিকিৎসা করছে।

বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বলেন: রাজু বক্সি ও সৌভিক বেরার মধ্যে কোন সম্পর্ক আছে? অভিযুক্ত ডাক্তারের কোন লেটার হেড বা প্রেসক্রিপশন দেখাও যেখানে উনি নিজেকে MS ENT বলেছেন। পুলিশ কী ওর বাড়ি থেকে কোন লেটার হেড পেয়েছে?

রাজ্যের আইনজীবী: না রাজু আর সৌভিকের মধ্যে কোন সম্পর্ক নেই। আর প্রেসক্রিপশন তিনি ক্লিনিকের ব্যবহার করতেন। ক্লিনিকের কর্মচারী সৌভিক বেরাও তা স্বীকার করেছেন। ক্লিনিক যদি সার্চ করার অনুমতি পাই তবে কিছু পাওয়া যেতে পারে। তদন্ত এখন একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে।

বিচারপতি: আপনি আপনার রাজ্যের মানুষের অভিভাবক। কিন্তু জোর করে কোন অপরাধের দায়ভার কারোর ওপর চাপিয়ে দিতে পারে না। এটা মেডিক্যাল নেগলিজেন্সি বলা হচ্ছে কিভাবে?

আবেদনকারী আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য: এর কোন অপরাধমূলক কাজ করার অভিযোগ নেই। বলা আছে আমি যে ডিগ্রি ব্যবহার করছি তা রোগীদের সমস্যায় ফেলছেন! আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষকে প্রভোগ করছি। এর প্রমাণ কোথায়? মূল অভিযোগের প্রমাণ না খুঁজে পুলিশ নতুন করে আরও অভিযোগ দিয়ে নতুন করে প্রমাণ করার চেষ্টা করছে। ডাক্তারদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধ আছে এটা কোথায় লেখা আছে? এর আগেও পুলিশ আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদীদের  বেআইনি ভাবে গ্রেফতার করেছে। কলতান দাশগুপ্ত তার জ্বলন্ত উদাহরণ। এরপর পুলিশ বলছে তারা রেড করার  সুযোগ পেলে আরও প্রমাণ জোগাড় করবে!