নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: পঞ্চায়েতের সামনেই সরকারি জমিতে কাটাছেঁড়া! নাকের ডগায় রমরমিয়ে বেআইনি কাজ, তবু নেই ভ্রুক্ষেপ। কেটে ফেলা হচ্ছে সরকারি জমির উপর গজিয়ে ওঠা একের পর এক বড় গাছ। এদিকে কিছুই জানেন না হাওড়া (Howrah) ডোমজুড়ের পঞ্চায়েত প্রধান এমনই দাবি তাঁর। শেষমেষ ঘটনা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস বিডিওর।
Breakfast Tips: সুস্থ থাকতে সকালে এড়িয়ে চলুন এই সাধারণ ভুলগুলো
ঘটনাটি হাওড়া (Howrah) ডোমজুড়ের রুদ্রপুরের, যেখানে পঞ্চায়েত প্রধানের অজান্তে পঞ্চায়েতের সামনে কাটা হচ্ছে গাছ। গত কয়েকদিন ধরে ডোমজুড়ের রুদ্রপুরে আচমকাই কেটে ফেলা সরকারি জমির উপর বড় বড় গাছ। জাবদাপোতা থেকে ছোট খসমোরা প্রায় তিন কিলোমিটার সরকারি রাস্তার দুপাশে রুদ্রপুর পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে বসানো হয়েছিল শিরিষ, কদম, বট সহ অন্যান্য গাছ। হঠাৎ করে কাটা হচ্ছে সেগুলোকেই।
https://www.facebook.com/share/p/14ntxvWaWn/
এলাকায় বেশ কিছু গাছ বাঁধের ধারে রাস্তার দুপাশে বসানো হয় এককালীন। বাঁধের দুই পাশের জমি শক্ত রাখতে বসানো হয় গাছগুলিকে। তবে কয়েক দিন ধরে এলাকায় বেশ কিছু দুষ্কৃতী একের পর এক গাছ কেটে বিক্রি করছে বলে অভিযোগ। প্রশ্ন একটাই কারা করছে এ কাজ? পঞ্চায়েতের সামনে অথচ টের পাচ্ছেন না কেউ?
গোটা এলাকায় কমপক্ষে একশোর বেশি বড় গাছ ইতিমধ্যেই কেটে ফেলা হয়েছে। পঞ্চায়েতের মদতে এই কাজ হচ্ছে বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। গ্রামবাসীদের আরও অভিযোগ পঞ্চায়েতের সকলেই এই কথা জানেন। এমনকি পঞ্চায়েতের মধ্যতেই এই কাজ হচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁদের।
https://www.youtube.com/@newspolebangla
তবে পঞ্চায়েত প্রধানের দাবি কারা গাছ কেটে নিয়ে গেছে সে ব্যাপারে কিছু জানেন না। প্রয়োজনে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেবেন সে কথা জানিয়েছেন তিনি। পঞ্চায়েত প্রধান জানান এখনো পর্যন্ত এ বিষয়ে তিনি অবগত নন।
প্রাচীন ভারতের গ্রামীণ শাসনব্যবস্থার মূল ভিত্তি ছিল পাঁচজন নির্বাচিত বা মনোনীত ব্যক্তিকে নিয়ে গঠিত গ্রামীণ স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠান পঞ্চায়েত। এই প্রতিষ্ঠানের হাতে ন্যস্ত ছিল গ্রামগুলির প্রশাসন, আইন প্রণয়ন ক্ষমতা ও বিচারব্যবস্থা পরিচালনের দায়িত্ব। মুঘল আমল পর্যন্ত ভারতের গ্রামগুলি এই পঞ্চায়েত ব্যবস্থা দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত হত। কিন্তু মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের পর পঞ্চায়েত প্রতিষ্ঠান ব্যবস্থাটি বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ব্রিটিশ শাসনকালে ভারতের এই সুমহান ঐতিহ্যশালী শাসনব্যবস্থার সম্পূর্ণ অবসান ঘটে। তার বদলে ভারতের রাজশক্তি নিজ কায়েমি স্বার্থ টিকিয়ে রাখার উদ্দেশ্যে ভারতের গ্রাম ও নগরাঞ্চলে ব্রিটিশ ধাঁচের এক স্বায়ত্তশাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন।